মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে জেফরি এপস্টিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় গত সপ্তাহে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার রাতে নিজের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে অন্যতম নিকৃষ্ট সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানি ও অপবাদের মামলা করার গৌরবময় সুযোগ পেয়েছি।’
দীর্ঘ পোস্টে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক টাইমস ডেমোক্র্যাটদের পক্ষপাতিত্ব করছে। এ ছাড়া গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করার অভিযোগও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমাকে নিয়ে অবাধে মিথ্যা বলা, কুৎসা রটানো ও অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’
মামলাটি ফ্লোরিডার আদালতে দায়ের করেছেন ট্রাম্প। গত সপ্তাহে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিনে একটি অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।
মার্কিন কংগ্রেসের কাছে এপস্টিনের সম্পত্তি থেকে সংগৃহীত নথিতে এই ‘জন্মদিনের বার্তা’ পাওয়া যায়। তথাকথিত ‘বার্থডে বুক’-এ হাতে আঁকা এক নারীর শরীরের ছবি ছিল, যার নিচে ‘ট্রাম্পের’ স্বাক্ষর ছিল।
ট্রাম্প অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, সেটি তার লেখা নয় এবং সেখানে ব্যবহৃত হাতের লেখা ও স্বাক্ষরও তার সঙ্গে মেলে না।
নথিপত্রে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী পিটার ম্যান্ডেলসনের নোটও পাওয়া গেছে। এপস্টিনের সঙ্গে সম্পর্কের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের এই কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস গত সপ্তাহে ট্রাম্পের মামলার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, ‘আমাদের সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, চিত্র-প্রমাণ প্রকাশ করেছেন এবং প্রেসিডেন্টের অস্বীকৃতিও তুলে ধরেছেন। মার্কিন জনগণের জন্য সবকিছু স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
পত্রিকাটি আরও জানায়, ‘আমরা ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান অব্যাহত রাখব এবং সাংবাদিকদের প্রথম সংশোধনী অধিকার রক্ষায় দৃঢ় থাকব, যাতে তারা মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন