মাদক পাচারের অভিযোগে আবারও একটি নৌযানে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এ হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ডের দায়িত্বরত এলাকায় তার নির্দেশেই এই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। অঞ্চলটি দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৩১টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে।
ট্রাম্প বলছেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, নৌযানটি অবৈধ মাদক পাচার করছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে এই বিষ ছড়ানোর জন্য পরিচিত একটি পথ দিয়ে যাত্রা করছিল। হামলায় নৌযানে থাকা তিন মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। তবে মার্কিন বাহিনীর কেউ হতাহত হননি।’
ট্রাম্প এক মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে রঙিন ও সাদাকালো দুটি দৃশ্যে একটি নৌযানকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে চলতি মাসে একই ধরনের তিনটি হামলা চালাল মার্কিন বাহিনী। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প জানান, ভেনেজুয়েলার গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’র মাদকবাহী একটি নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে। এতে ১১ জন নিহত হয়। সোমবার ভেনেজুয়েলার আরও একটি জাহাজে হামলার কথা জানান ট্রাম্প। এতে নিহত হন তিনজন।
এদিকে এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে কি না, তা নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটনের পরিচালক সারা ইয়েজার বলেন, ‘মার্কিন কর্মকর্তারা কেবল অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে হত্যা করতে পারেন না।’
এই ধারাবাহিক ঘটনা কারাকাস ও ওয়াশিংটনের টানাপোড়েন সম্পর্ককে আরও উত্তেজিত করেছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে কড়া নীতি অব্যাহত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এর আগে মাদক পাচারের সঙ্গে কথিত সম্পর্কের কারণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মাদুরোকে ‘মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার সরাসরি হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন