শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১০:২২ এএম

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে পর্তুগাল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১০:২২ এএম

ইসরায়েলি বাহিনীর সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে এক কিশোর। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে এক কিশোর। ছবি- সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। শুক্রবার পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রোববার ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এর এক দিন পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মর্যাদা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করছে যে, পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আগে ২১ সেপ্টেম্বর রোববার স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।’

পর্তুগালের কোরেইও দা মানহা পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির মধ্য-ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো প্রেসিডেন্ট ও সংসদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।

পর্তুগালের এই ঘোষণা এমন সময় এলো যখন জাতিসংঘের এক ঐতিহাসিক তদন্তে ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন আহত হয়েছে। আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের জুলাইয়ে পর্তুগাল জানিয়েছিল, উদ্বেগজনকভাবে সংঘাত বৃদ্ধি, মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের হুমকি বিবেচনা করে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এক উপদেষ্টা জানান, অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও সান মারিনোও সোমবার নিউইয়র্কে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

কানাডা ও যুক্তরাজ্যও একই ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া ১৪৭টি দেশের সঙ্গে এই দেশগুলো যোগ দেবে, যা জাতিসংঘের সদস্যদের প্রায় ৭৫ শতাংশ।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেওয়ায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়। এক্ষেত্রে অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেওয়া ১৪৫টি দেশের মধ্যে ছিল পর্তুগাল। নাউরু, পালাউ, প্যারাগুয়ে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। এ ছাড়া ছয়টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

এরইমধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, ফ্রান্সের সিদ্ধান্ত ‘উদ্বেগজনক’ এবং ‘হামাসের প্রচারকে উৎসাহিত করে’। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ গত বছর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যে দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে তাদের প্রতি নতুন অবৈধ বসতি স্থাপন করা হবে।

সপ্তাহের শুরুতে লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুস ফ্রিডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভিয়ার বেটেল সংসদের এক কমিশনকে জানিয়েছেন, তারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বেটেল আরও জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে তিনি সংসদে বিল উপস্থাপন করবেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ দেশগুলোকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র নিষিদ্ধের মতো ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিন বিভাজনের পরিকল্পনায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রস্তাব করেছিল যে, মোট ভূখণ্ডের ৪৫ শতাংশ একটি আরব রাষ্ট্রকে দেওয়া হবে। তখন জাতিসংঘের সদস্য ছিল মাত্র ৫৭টি দেশ, যাদের মধ্যে অনেকেই উপনিবেশিক শাসনের কারণে ভোট দিতে পারেনি।

Link copied!