মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে টিকটক চুক্তি, বাণিজ্য ইস্যু ও ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে হওয়া এই আলাপে দুই নেতা আসন্ন এপেক শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি বৈঠকেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ফোনালাপ শেষে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য, ফেন্টানাইল, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং টিকটক চুক্তি অনুমোদনসহ নানা বিষয়ে অগ্রগতি করেছি।’ তিনি আরও জানান, কথোপকথনটি খুবই ইতিবাচক ছিল এবং উভয় পক্ষ আবারও আলাপ চালিয়ে যাবেন।
মার্কিন কংগ্রেস এ বছরের শুরুতে টিকটকের বিরুদ্ধে আইন পাস করে। আইনে বলা হয়, চীনের হাতে যদি টিকটকের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ থাকে তবে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে। পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, অক্টোবরের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক শীর্ষ সম্মেলনে শির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে এবং আগামী বছর তিনি চীন সফর করবেন। শি-ও উপযুক্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপটি ছিল ‘স্পষ্ট ও গভীর আলোচনা’। শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের ওপর ‘একতরফা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, টিকটক বিক্রি নিয়ে কর্পোরেট সিদ্ধান্তকে চীন সম্মান করে এবং বাজারের নিয়ম ও চীনা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধানকে স্বাগত জানায়।
শি আশা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি উন্মুক্ত, ন্যায্য ও বৈষম্যহীন ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করবে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চীন মার্কিন শুল্কনীতির প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। শুরুতে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়, যদিও পরে তা কমিয়ে ৩০ শতাংশে আনা হয়।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন