সিরিয়ায় আগামী ৫ অক্টোবর গণপরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বছর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় এটিই প্রথম সংসদীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ও বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলও সিরিয়াকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, ২১০ আসনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। বাকি সদস্যরা স্থানীয় কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত হবেন। সংসদ অর্থনৈতিক নীতির সংস্কার ও বিদেশি চুক্তি অনুমোদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নের দায়িত্ব পাবে।
সানা জানিয়েছে, নতুন পার্লামেন্ট ‘বৃহত্তর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভিত্তি স্থাপন করবে’, যা গত ডিসেম্বর প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর আসাদের পতনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, বর্তমান কাঠামো এখনো সিরিয়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করছে না।
আগে সেপ্টেম্বর মাসে ভোটের কথা বলা হলেও, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, নিরাপত্তাজনিত কারণে সুয়াইদা, হাসাকা ও রাকা প্রদেশে ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হতে পারে।
জুলাইয়ে সুয়াইদায় দ্রুজ যোদ্ধা ও সুন্নি বেদুইনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, আর হাসাকা ও রাকার কিছু অংশ এখনো কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত মার্চে আল-শারার প্রশাসন অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটি সাংবিধানিক ঘোষণা জারি করে। এতে ইসলামি আইনকে কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয়েছে, পাশাপাশি নারীর অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। তবে বিরোধীরা মনে করছেন, এই কাঠামো সিরিয়ার নেতৃত্বের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করছে।
আল-শারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা আলোচনাকে তিনি ‘প্রয়োজনীয়’ মনে করেন, তবে যেকোনো সমঝোতায় সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং ইসরায়েলের বিমান হামলা বন্ধের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন