এবার হেবরনে অবস্থিত পবিত্র ‘ইবরাহিমি মসজিদ’ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। পশ্চিম তীরে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র এ স্থাপনায় হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছে ফিলিস্তিনিরা। এর আগে, বছরের বিভিন্ন সময়ই মসজিদটিতে আজান দেওয়া ও নামাজ পড়া বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি মসজিদ হলো ইবরাহিমি মসজিদ। মুসলিম জাতির পিতা নবি হজরত ইবরাহিম আ.-এর নামের সঙ্গে মিলিয়ে এর নাম রাখা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে এতে নামাজ আদায় করে আসছেন মুসলমানরা। বিভিন্ন সময় এতে নামাজ আদায়ে মুসলমানদের বাধা প্রদান করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।
এখানে চার হাজার বছর আগে হজরত ইব্রাহীম (আ.)-কে সমাহিত করা হয়েছে। কিছু ঐতিহাসিকের মতে এখানে নবি ইবরাহিম (আ.)-এর স্ত্রী সারা, পুত্র ইসহাক ও ইসমাইল (আ.)-এর কবর রয়েছে। ফিলিস্তিন বিজয়ের পর ১৫ হিজরিতে মুসলমানেরা এখানে মসজিদটি নিমার্ণ করেন। উমাইয়া এবং আব্বাসীয় যুগে ক্রুসেড হামলার আগ পর্যন্ত এটি মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। ক্রুসেড হামলার পর এটি ৯০ গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫৮৭ হিজরিতে আল আকসা বিজেতা সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ূবি মসজিদটি পুনরুদ্ধার করেন এবং এর দেখভালের জন্য ১০টি পরিবারকে নিয়োগ করেন। মসজিদের মিম্বরটি প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্যের সাক্ষ্য বহন করছে। এটি মিসরে তৈরি করা হয়েছিল।
মসজিদটি ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মুসলমানেদের অধীনে ছিল। ১৯৬৭ সালে ৪ জুন এতে ইসরায়েলি পতাকা স্থাপন করে দখলদার বাহিনী এবং ১৯৯৪ সালে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়।
উল্লেখ্য, ইবরাহিমি মসজিদটি ‘দুই সমাধির গুহা’ তথা কেভ অফ দ্য পেট্রিয়ার্ক বা আল-হারাম আল-ইবরাহিমি নামেও পরিচিত।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন