মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম

চীনের নতুন রণতরী ফুজিয়ানের ঝলক, আলোচনার আহ্বান ওয়াশিংটনের

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম

জে-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান ফুজিয়ান রণতরী থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম ব্যবহার করে উড্ডয়ন করছে। ছবি- সিসিটিভি

জে-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান ফুজিয়ান রণতরী থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম ব্যবহার করে উড্ডয়ন করছে। ছবি- সিসিটিভি

চীনের সর্বশেষ ও সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ নতুন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম ব্যবহার করে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ স্টিলথ ফাইটার, ৪.৫ প্রজন্মের জে-১৫টি ফাইটার এবং কেজে-৬০০ প্রাথমিক সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণ বিমানকে উন্নত ইএমএএলএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে উড্ডয়ন করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভি এই পরীক্ষাকে নৌবাহিনী রূপান্তরের এক ‘মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বর্তমানে বিশ্বের একমাত্র বিমানবাহী রণতরী, যা ইএমএএলএস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এটি ২০২২ সালে সম্পূর্ণরূপে ইএমএএলএস সিস্টেমে সজ্জিত যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড। বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই রণতরী বহরে যুক্ত করতে যাচ্ছে চীন। 

মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন ও বিশ্লেষক কার্ল শুস্টারের মতে, ফুজিয়ানের এই সফল পরীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে রণতরীটি শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন)-এর বহরে যুক্ত হতে পারে। আগামী মাসগুলোতে আরও কিছু সার্টিফিকেশন সম্পন্ন হবে। আগামী বসন্তে বিমানবাহিনী ও রকেট ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ইএমএএলএস প্রযুক্তি ফুজিয়ানকে পুরনো রণতরী শানডং ও লিয়াওনিং-এর তুলনায় বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। স্কি-জাম্প র‍্যাম্পের পরিবর্তে এ ব্যবস্থা ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহনকারী বিমান উড্ডয়নের সুযোগ দেয়। ফলে যুদ্ধবিমানগুলো আরও দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সক্ষমতা চীনকে পূর্ণাঙ্গ ‘নীল-জল’ নৌক্ষমতার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

তবে ফুজিয়ান এখনও পারমাণবিক শক্তিচালিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক রণতরীগুলো সমুদ্রে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে সক্ষম হলেও ফুজিয়ানকে জ্বালানি ভরার জন্য বন্দরে ফিরতে হবে কিংবা সমুদ্রে ট্যাঙ্কারের ওপর নির্ভর করতে হবে।

ফুজিয়ানের এই সাফল্যের মধ্যেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়েছে। বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল বেইজিং সফরে রয়েছে। গত ছয় বছরের মধ্যে এটিই প্রথম চীন সফর। মার্কিন প্রতিনিধি ও হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট অ্যাডাম স্মিথের নেতৃত্বে দলটি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

অ্যাডাম স্মিথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সামরিক বাহিনী যথাক্রমে বিশ্বের বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল শক্তি। অথচ নিয়মিত যোগাযোগের অভাব গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি সতর্ক করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন, সাইবার এবং মহাকাশ প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলছে। গতকাল সোমবার তাদের বৈঠকে স্মিথ জানান, বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পথ উন্মুক্ত করতে চায় ওয়াশিংটন, বিশেষ করে সামরিক বিষয়ে।

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক জোরদারে বিঘ্নকারী কারণগুলো দূর করতে হবে। একইসঙ্গে মার্কিন-চীন সামরিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এপেক সম্মেলনে শি’র সঙ্গে তার বৈঠক হবে এবং আগামী বছরের শুরুতে তিনি চীন সফরে যাবেন। একইসঙ্গে শি জিনপিংও উপযুক্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে সম্মত হয়েছেন।

Link copied!