গাজাগামী ত্রাণবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে গ্রিস উপকূলের কাছে তাদের কয়েকটি জাহাজকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘একাধিক ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে, নৌযানগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দেওয়া হয়েছে।’ তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
জার্মান মানবাধিকারকর্মী ও বহরের সদস্য ইয়াসমিন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেন, ‘পাঁচটি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা কেবল মানবিক সহায়তা বহন করছি। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই। আমরা কারো জন্য হুমকি নই। অথচ ইসরায়েল হাজারো মানুষ হত্যা করছে এবং একটি পুরো জনগোষ্ঠীকে অনাহারে রেখেছে।’
এর আগে ইয়াসমিন জানান, তারা প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি ড্রোন দেখেছেন এবং তাদের রেডিও সিগন্যাল জ্যাম করা হয়েছে।
বহরের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় রাত পৌনে ২টায় ‘স্পেক্টার’ নৌকা থেকে একটি বিস্ফোরণের দৃশ্য রেকর্ড করা হয়েছে। আরেকটি ভিডিওতে ব্রাজিলিয়ান কর্মী থিয়াগো অ্যাভিলা বলেন, ড্রোন থেকে ‘বস্তু’ নিক্ষেপ করে চারটি নৌকাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ঠিক তার পরই আরেকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
স্পেনের বার্সেলোনা থেকে এ মাসের শুরুতে যাত্রা শুরু করে এই বহর, যার উদ্দেশ্য ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। বর্তমানে এতে ৫১টি নৌযান রয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের কাছে অবস্থান করছে। তাদের নৌযান এর আগে তিউনিসিয়ায় দুটি সন্দেহজনক ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল।
এই বহরে সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কর্মী রয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েল সোমবার জানিয়েছে, তারা কোনোভাবেই এই নৌযানগুলোকে গাজায় পৌঁছাতে দেবে না। এর আগে জুন ও জুলাই মাসে সমুদ্রপথে গাজায় পৌঁছানোর দুটি প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করেছিল ইসরায়েল।
গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল তীব্র আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে। গত মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন