অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ব্যস্ত সড়কে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১৬ জনকে আহত করার ঘটনায় ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিডনির ইনার ওয়েস্ট এলাকায় ঐ ব্যক্তি এলোপাথারিভাবে পথচারী, যানবাহন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি।
পুলিশ আরও জানায়, বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং অভিযান চালিয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপরতলায় প্রবেশ করে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে।সেখান থেকে একটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
সড়কের বিপরীত পাশে অফিসে কাজ করছিলেন জো আজার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড সংবাদপত্রকে এই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথমে তিনি আতশবাজি বা জানালায় পাথর ছোড়ার শব্দ ভেবেছিলেন। পরে দেখেন, একটি গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেছে এবং বাসস্টপের কাঁচ ভেঙে গেছে।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ট্যাডগ অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (এবিসি) জানান, তিনি রাগবি ম্যাচ দেখছিলেন, তখনই গুলির শব্দ শোনেন। তিনি বলেন, ‘একটার পর একটা জোরে শব্দ হচ্ছিল। বিস্ফোরণ, ধোঁয়া, আতশবাজির মতো দৃশ্য। সবকিছু যেন সিনেমার মতো লাগছিল।’
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ কমিশনার ম্যাল ল্যানিয়ন ঘটনাটিকে গুরুতর ও ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করে জানান, বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য এখনো অজানা হলেও এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ বা গ্যাং কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের গণগুলির ঘটনা বিরল। ১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ার পোর্ট আর্থারে এক বন্দুকধারীর হাতে ৩৫ জন নিহতের পর থেকেই দেশটিতে স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়। সম্প্রতি ২০২২ সালে কুইন্সল্যান্ডের উইয়ামবিলা এলাকায় গুলিতে দুই পুলিশসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। চলতি বছরের আগস্টে অভিযুক্ত বন্দুকধারী ডেজি ফ্রিম্যান দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর পালিয়ে যান এবং এখনো পলাতক রয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন