শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল: এইচআরডব্লিউ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০২:১০ পিএম

পশ্চিম তীরে বাস্তুচ্যুত লোকজন। ছবি- সংগৃহীত

পশ্চিম তীরে বাস্তুচ্যুত লোকজন। ছবি- সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল। এমন মন্তব্যই করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালিয়ে তিনটি শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোর করে উচ্ছেদ করেছে ইসরায়েল, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি ইসরায়েলের কথিত ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’র বিশ্লেষণ তুলে ধরে। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে চালানো এই বৃহৎ সামরিক অভিযান ২১ জানুয়ারি জেনিন শরণার্থী শিবিরে শুরু হয়। পরে তা তুলকারেম, নুর শামসসহ দখলকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের আরও বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এইচআরডব্লিউ-এর হিসাব অনুযায়ী, এসব অভিযানের ফলে তিনটি শিবিরের প্রায় ৩২ হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। যা ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বড় উচ্ছেদের ঘটনা।

উচ্ছেদ হওয়া এক ব্যক্তি নাদিম এম, চার সন্তানের জনক ৬০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি সংস্থাটিকে জানান, ইসরায়েলি সেনারা তাকে জিপ-টাই দিয়ে বেঁধে রেখে তার বাড়ি তল্লাশি চালায়, এরপর তাকে ও তার পরিবারকে অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দেয়। সেনারা তাদের সতর্ক করে জানায়, তারা যদি বাম বা ডান দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে, তবে আশপাশের উঁচু স্থানগুলোতে অবস্থান নেওয়া ইসরায়েলি স্নাইপাররা তাদের গুলি করবে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ৮৫০টি ফিলিস্তিনি বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংস করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে ‘কোনও কার্যকর উদ্যোগ’ নেয়নি, এমনকি প্রতিবন্ধী মানুষের প্রয়োজনীয়তাও বিবেচনা করা হয়নি।

সংস্থাটি বলেছে, ‘দখলকৃত অঞ্চলের আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বাহিনী জোর করে মানুষের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে— যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।’

দখলকৃত অঞ্চলের আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বাহিনী জোর করে মানুষের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে— যা যুদ্ধাপরাধের শামিল

- এইচআরডব্লিউ

তাদের মতে, এই পদক্ষেপগুলো ‘জোরপূর্বক জনসংখ্যা স্থানান্তর এবং সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক বা পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘন; যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধান অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ।’

এইচআরডব্লিউ ইসরায়েলকে ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে, উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের ফেরার সুযোগ দিতে, মানবিক সহায়তার চাহিদা পূরণ করতে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তারা এই প্রতিবেদনের বিষয়ে অবগত। তিনি জানান, ‘পশ্চিম তীরে কী ঘটছে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে তা নিয়ে কথা বলছি’। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত ও প্রকাশ্য দুইভাবেই উদ্বেগ জানিয়েছে।’

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় গণহত্যা শুরুর পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আগ্রাসন আরও বেড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে, ইসরায়েলি সেনা ও সশস্ত্র ইহুদি বসতকারীদের হাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৬ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী ২০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে অপহরণ করেছে।

চলতি বছরের জুলাইয়ে দেওয়া এক ঐতিহাসিক মতামতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব অবৈধ বলে ঘোষণা করে। আদালত সেসময় দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের সব বসতি খালি করার নির্দেশও দেয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!