মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মুসলিম ব্রাদারহুডকে কালো তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ ট্রাম্পের

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিসর, লেবানন ও জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে তাঁর সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, মুসলিম ব্রাদারহুডের এসব শাখা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থন দেয়।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইসরায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে চাপ জোরালো করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই সোমবার (২৪ নভেম্বর) ট্রাম্প এ আদেশ দিয়েছেন। 

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতারা হামাসকে বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে এবং সংগঠনটির লেবানন শাখা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হামাস ও হিজবুল্লাহর পক্ষ নিচ্ছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের লেবানন শাখাটি আল-জামা আল-ইসলামিয়া নামে পরিচিত। ট্রাম্পের আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে দেশটির গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩০ দিনের মধ্যে এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে।

ট্রাম্পের আদেশে আরও বলা হয়েছে, মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের এক নেতা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাপনায়’ সহিংস হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে হোয়াইট হাউস এটি দিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। মুসলিম ব্রাদারহুড মিসরে নিষিদ্ধ। তারা বেশির ভাগ সময় সেখানে গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তদেশীয় নেটওয়ার্ককে মোকাবিলা করছেন। এ নেটওয়ার্ক মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র এবং মিত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডকে উসকে দেয়।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা পাবে। প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তকমা দেওয়ার কাজটি দ্রুতই হয়ে যেতে পারে।

ট্রাম্পের আদেশ মুসলিম ব্রাদার হুডের অন্য শাখাগুলোকেও নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পথ খুলে দিচ্ছে। হোয়াইট হাউস এসব সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করারও চেষ্টা করছে।

এসব তকমা দেওয়ার পর মুসলিম ব্রাদারহুডকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দেওয়াকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া এর আওতায় সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের মধ্যে বড় অংশেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। সংগঠনটির আয়ের উৎস নষ্ট করতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।

মিসরের মুসলিম চিন্তাবিদ হাসান আল-বান্না ১৯২৮ সালে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংগঠনটির বিভিন্ন শাখা আছে। বিভিন্ন দেশে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়। সংগঠনটির দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অংশগ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!