পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি প্রজাতন্ত্রে গণভোটে বিপুল সমর্থন পেয়েছে নতুন সংবিধান। এটি কার্যকর হলে জান্তা নেতা মামাদি দৌম্বুয়া প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘোষিত অস্থায়ী ফলাফলে দেখা গেছে, ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোটার প্রস্তাবিত সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
আঞ্চলিক প্রশাসন মন্ত্রী ইব্রাহিমা কালিল কোন্ডে জানান, ৬৭ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। এই ফলাফল সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন সংবিধান কার্যকর হলে বিলুপ্ত হবে সেই অন্তর্বর্তীকালীন কাঠামো, যা ক্ষমতাসীন জান্তার সদস্যদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বাধা দিত। এতে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দৌম্বুয়া প্রার্থী হওয়ার পথ খুলে গেলেও তিনি এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি।
সংবিধানে আরও কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করা, যা একবারের জন্য নবায়নযোগ্য। পাশাপাশি নতুন একটি সিনেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
২০২১ সালে বিশ্বের বৃহত্তম বক্সাইট মজুদের দেশ গিনির ক্ষমতা দখল করেন দৌম্বুয়া। এটি ছিল ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় সংঘটিত আটটি অভ্যুত্থানের একটি।
বিরোধী নেতারা যেমন সেলু ডেলেন ডায়ালো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলফা কনডে গণভোট বর্জনের ডাক দিলেও গিনিবাসীরা বিপুলভাবে ভোট দিয়েছেন। অস্থায়ী হিসাবে ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ৮৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। এতে অনেকে সামরিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।
তবে বিরোধী নেতারা ভোটদানের এই হারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনী কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণের তুলনায় এই হার ছিল ‘অস্বাভাবিকভাবে বেশি’।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন