নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের বাসভবনে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন। এর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে ব্যাপক দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকেই সুশীলা কার্কি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার সুপারিশের পর প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দিলে মধ্যরাত থেকে নেপালে জরুরি অবস্থা কার্যকর হবে।
নেপালের সংবিধানের ২৭৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সশস্ত্র বিদ্রোহ বা অন্য কোনো জাতীয় সংকটের পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যেতে পারে।
দিনের শুরুতে নেপালের আন্দোলনরত জেন-জি পক্ষ জানায়, তারা সুশীলা কার্কির নেতৃত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত, তবে কয়েকটি শর্ত রয়েছে— যার মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া অন্যতম প্রধান দাবি।
প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী দলের একাংশ ‘উই নেপালি গ্রুপ’ নিশ্চিত করেছে যে, এ বিষয়ে বিস্তৃত ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি সুদান গুরুঙ বলেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্তির দাবিই এখন মূল। এবং তা কার্যকর হলেই অন্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া যাবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট খুব শিগগিরই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেবেন। গুরুঙ আরও বলেন, ‘জেন-জি প্রজন্মের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করতে হবে এবং আমরা এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।’ তিনি জানান, মন্ত্রিসভা গঠন ও সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনাও চলছে।
অভিজ্ঞ আইনবিদ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত সুশীলা কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ)-এর সাবেক শিক্ষার্থী। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, কার্কি একসময় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু তা গ্রহণ করেননি।