শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

তালেবানের নিষেধাজ্ঞার পর

আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন কমেছে: জাতিসংঘ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

আফগানিস্তানে আফিম চাষের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

আফগানিস্তানে আফিম চাষের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে আফিম খামারের মোট আয়তন গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে।

আর আফিম উৎপাদনের পরিমাণ একই সময়ে ৩২ শতাংশ কমেছে। একসময় বিশ্বের মোট আফিমের ৮০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হত আফগানিস্তানে। ইউরোপের বাজারে ব্যবহৃত হেরোইনের ৯৫ শতাংশের উৎসও ছিল আফগান আফিম।

তালেবান সরকার ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করে। তারা জানায়, আফিম ইসলামবিরোধী এবং ক্ষতিকর। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্তেও অধিকাংশ আফগান কৃষক এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।

অনেক কৃষক এখন খাদ্যশস্য ফলাচ্ছেন। কিন্তু পপি বা পপি ফুল, যা থেকে হেরোইনের মূল উপাদান আফিম তৈরি হয়, সেই ফুলের চাষ এখনও অন্য ফসলের তুলনায় বহুগুণ বেশি লাভজনক। ফলে লাভজনক বিকল্পের অভাব, কৃষি উৎপাদনে সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে আফগানিস্তানের ৪০ শতাংশেরও বেশি আবাদযোগ্য জমি অনাবাদী পড়ে আছে।

চলতি বছর আফিম চাষের আওতায় জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর। এই জমি মূলত আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর বেশিরভাগই পড়েবাদাখশান প্রদেশে।

২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে আফগানিস্তান জুড়ে ২ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে আফিম চাষ হত। ২০২৫ সালে আফগানিস্তানের চারটি প্রদেশ-বালখ, ফারাহ, লাঘমান ও উরুজগানকে ‘আফিম-মুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আফিম উৎপাদনের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলো থেকেও চাষ প্রায় না হওয়া পপি চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাত্রা ও স্থায়িত্ব নির্দেশ করে। হেলমান্দ প্রদেশের এক কৃষক বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে জেল হবে। মানলে অভুক্ত থাকতে হবে।’ অর্থের অভাব থাকলে আবার পপি চাষেই ফিরার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!