ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সাজা, বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
তুরস্কে বিক্ষোভের ছবি। ছবি- সংগৃহীত

 

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইসতাম্বুলের কারাবন্দি মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে বছর মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে তুরস্কের এক আদালত। এক সরকারি কর্মকর্তাকে অপমান হুমকির মামলায় গতকাল বুধবার এই আদেশ দেয় আদালত। বছরের ২৩ মার্চ থেকে  কারাবন্দি আছেন তিনি।

মামলার এজাহারে ইসতাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আকিন গুরলেককে সমালোচনার অভিযোগ আনা হয় মেয়র ইমামোগলুর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আদালতের এই আদেশের বিপরীতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ইমামোগলুর আইনজীবী।

এদিকে, কারারুদ্ধ থাকলেও ইমামোগলুকে আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৮ সালে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে, ২০১৯ সালে ইমামোগলু ইসতাম্বুলের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত বছরে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি ।

সাম্প্রতিক সময়ে ইমামোগলুর সমর্থকেরা দেশজুড়ে এক প্রতীকী ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন শহরে তারা ব্যালট বাক্স বসিয়েছিলেন। বিরোধী দল সিএইচপির সমর্থক নন এমন মানুষদেরও ওই প্রতীকী ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

সিএইচপি জানিয়েছে, প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। কোনো কোনো অঞ্চলে এতই ভিড় হয়েছিল যে, ভোটের সময় সাড়ে তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দিতে হয়। দেড় কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ইমামোগলুর সমর্থনে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে ইমামোগলুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পরপরেই ইস্তাম্বুলে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন মেয়রের মুক্তির দাবিতে। গত পাঁচদিন ধরে তারা রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। রোববার সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ইমামোলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোলু।

বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন,  ‘এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এবার তিনি হারবেন।’ তার বক্তব্য, ইকরামকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের জনগণের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, অবিচার করা হচ্ছে। এর দায়িত্ব এরদোয়ানকে নিতে হবে।

 

 

 

.