ভারতের মুম্বাইয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ১৬ বছরের এক কিশোরকে অ্যান্টি অ্যাংজাইটি পিল খাইয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে , ওই শিক্ষিকা নাবালক ছাত্রটিকে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও অন্যান্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে মদ্যপান করাতেন। এমনকি, তাকে অ্যান্টি অ্যাংজাইটি পিল খাইয়েও যৌন হেনস্তা করতেন ওই নারী। এই ঘটনাটি মুম্বাইজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য নাচের দল নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলাকালীন বিবাহিত শিক্ষিকা ছেলেটির প্রতি আকৃষ্ট হন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত এক মাস পরে তাকে প্রথম যৌন প্রস্তাব দিয়েছিল। ছেলেটি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিল এবং শিক্ষিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এরপরই ছেলেটির মেয়ে বন্ধুদের মাধ্যমে ছাত্রটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই শিক্ষিকা।
এই সম্পর্ক মেনে নিতে বলে শিক্ষিকা বলেন, আজকাল নারী ও কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বান্ধবী ছেলেটিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে সে এবং ওই শিক্ষিকা ‘মেড ফর টিচার’। ওই বান্ধবী ওই নাবালককে বলেছিল, বয়স্ক নারী ও কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা কিশোরকে যৌন নির্যাতনের জন্য দামি হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয় ওই ছাত্রের মনে। এরপর তিনি তাকে কিছু অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি পিল দেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী বলেন, শিক্ষিকা প্রায়শই ছেলেটিকে গালিগালাজ করার আগে তাকে মদ্যপান করাতেন। ছেলেটি স্কুল থেকে পাস করেছে এবং শিক্ষিকা এখন তাকে ছেড়ে চলে যাবেন ভেবে পরিবারটি প্রথমে ঘটনাটি সম্পর্কে নীরব ছিল। তবে, অভিযুক্ত গৃহকর্মীদের মাধ্যমে তার সাথে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে, তাকে তার সাথে দেখা করতে বলে, তখনই পরিবার একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়।