বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ১০:২৪ এএম

ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশকে চিঠি দিল ভারতের ব্যবসায়ীরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ১০:২৪ এএম

ইলিশ মাছ। ছবি- সংগৃহীত

ইলিশ মাছ। ছবি- সংগৃহীত

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে ভারতের ফিস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ মাছ পাঠানো এবং সেখানকার চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে লেখা আছে, অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে, আপনার সদয় হস্তক্ষেপের ফলে গত বছর আপনার অফিস ভারতে ২৪২০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিলেন। যার কারণে ‘এপার বাংলার মানুষ আপনার কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’ পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মাছপ্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু খাবার।

চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের আসন্ন দুর্গাপূজা শুরু হওয়ার আগে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, মহাশয়, গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক অনুমোদিত ২৪২০ টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। আগের বছরও একই অবস্থা ছিল। প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছ সম্পূর্ণ আমদানি করতে পারি না।

কারণ রপ্তানির অনুমতির সময়সীমা থাকে, যেমন ৩০ দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আমরা আপনাকে পরামর্শ এবং অনুরোধ করছি যে, আপনি কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।

এ বিষয়ে হাওড়ার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, প্রতিবছর আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করি। এবারও করেছি। যেহেতু এই বছর দুর্গাপূজা সেপ্টেম্বরেই, তাই আগেভাগেই মাছের ব্যবস্থা করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, আগে এক মাস সময় পেতাম। এবার যদি বেশি সময় পাওয়া যায়, তাহলে আমদানিও বেশি করা সম্ভব হবে।

তবে যদি বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি না দেয়, তাহলে ভারতের বাজারে মিটানোর জন্য গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল এবং মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পূজার সময় বাঙালির খাদ্যতালিকায় ইলিশ অন্যতম। আর পদ্মার ইলিশের কদর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় বরাবরই বেশি। তাই উৎসবের আগে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে ওপার বাংলার ক্রেতা-বিক্রেতারা।

Shera Lather
Link copied!