ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর প্রতারণার ঘটনা। পাত্রী পরিচয় দেওয়া একজনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক যুবক।
পাত্রী চা খাওয়ানোর পরই বেহুশ হয়ে পড়েন তিনি। আর জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, খোয়া গেছে মোবাইল ও মানিব্যাগ।
ভুক্তভোগী যুবকের নাম সুদীপ বসু। তিনি লেনিনগড় নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। ঘটকালি ওয়েবসাইটে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ১ জুলাই তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন জিয়া সিংহ নামের এক পাত্রী। তারা একটি হোটেলে বসে কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং চা পান করেন।
সুদীপের অভিযোগ, চা পান করার পরপরই তিনি সংজ্ঞা হারান। জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পান তার মোবাইল ও মানিব্যাগ নেই। এরপর তিনি এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে, চুরি করা মোবাইল ফোনটি রাজশাহীর যুবক হাসানের কাছে বিক্রি করেন জিয়া।
হাসানকে পশ্চিমবঙ্গের দমদম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পুরো নাম মোহাম্মদুল হাসান। বয়স ৪০ বছর। তিনি বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, হাসান মূলত চুরি করা মোবাইল ফোন পাচারের সঙ্গে জড়িত। ৩০ জুলাই দমদম স্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়। জেরায় তিনি স্বীকার করেন, জিয়ার কাছ থেকে পুরোনো জিনিস কেনাবেচার ওয়েবসাইট থেকে মোট ১০টি মোবাইল কিনেছেন এবং সেগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করেছেন।
তিনি পশ্চিমবঙ্গে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন কি না, কিংবা এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলেও দীর্ঘ সময় অবস্থান করেছিলেন তিনি।
ঘটনাটি শুধুই প্রতারণার নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে পুলিশ। ভুক্তভোগী সুদীপ বসু বর্তমানে নিরাপদে আছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।