ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

রাখাইনে কবরস্থানও দখলে নিল আরাকান আর্মি, ধানখেতে লাশ দাফন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা পরিবার। ছবি- রয়টার্স

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (এএ) ক্রমবর্ধমান নৃশংসতার শিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।

মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা এইচআরডব্লিউ’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি- উভয় পক্ষের সংঘাতের মাঝে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অঞ্চলটিতে কবরস্থানও ধ্বংস করে দখলে নিচ্ছে আরাকান আর্মি। ফলে মৃতদেহ দাফন করতে হচ্ছে ধানখেতে।

এইচআরডব্লিউর তথ্যানুযায়ী, আরাকান আর্মির দখলকৃত এলাকাগুলোতে রোহিঙ্গাদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বাড়িঘর লুটপাট, নির্বিচারে আটক ও খারাপ আচরণ, বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োগ এবং জোরপূর্বক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার মতো নানা নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এই সংঘাতে গ্রামবাসীদের জোর করে বাহিনীতে ভর্তি করানোর ফলে মুসলিম রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে।

এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক এলেইন পিয়ারসন এই পরিস্থিতিকে ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমননীতির অনুকরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আরাকান আর্মিকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২৩ সালের নভেম্বরে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর আরাকান আর্মি জান্তা সরকারের কাছ থেকে কিছু এলাকা দখল করে নেয় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তাদের জীবন এখনো কঠিন ও শৃঙ্খলহীন। খাবারের তীব্র সংকট এবং চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে অনেককে ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।