ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এবার দিল্লি-মুম্বাই হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
বোমা হামলার হুমকির পর মুম্বাই হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ছবি- সংগৃহীত

ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার কয়েক মিনিট পর শুক্রবার মুম্বাই হাইকোর্টও একই ধরনের ই-মেইল বার্তা পেয়েছে। হুমকির পর আদালতের সব সদস্য ও কর্মীকে ভবন খালি করার অনুরোধ জানায় মুম্বাই বার অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

মুম্বাই পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বোমা শনাক্তকারী দল আদালত প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে প্রাথমিক তথ্য বলছে, এটি সম্ভবত ভুয়া হুমকি।

এর আগে দিনের শুরুতে দিল্লি হাইকোর্ট ই-মেইলের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকির বার্তা পায়। এতে সব বেঞ্চের কার্যক্রম বন্ধ করে আদালত ভবন খালি করা হয়। বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ দল দ্রুত মোতায়েন করা হয় এবং এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। একাধিক তল্লাশির পর কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

হুমকির ই-মেইলটি ‘কানিমোঝি থেভিদিয়া’ নামে পাঠানো হয়েছিল। এতে দাবি করা হয়, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিদের কক্ষ শিগগিরই ‘বিস্ফোরিত’ হবে। আরও বলা হয়, ১৯৯৮ সালের কোয়েম্বাটোর বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটানো হবে এবং তামিলনাড়ুর মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের ছেলে ইনবানিথির ওপর অ্যাসিড হামলার হুমকিও দেওয়া হয়।

ই-মেইলে আরও লেখা হয়, ‘ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো পারিবারিক বংশানুক্রমিক রাজনীতি ও দুর্নীতিকে ছাড় দিয়ে বিজেপি/আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যখন উত্তরাধিকারীরা (রাহুল গান্ধী, উদয়নিধি) ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হয়, তখন তারা আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।’

বার্তায় আরও বলা হয়, ‘নতুন প্রজন্মের ধর্মনিরপেক্ষ নেতৃত্ব গড়তে কিছু লোককে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমরা প্রস্তাব করছি, ড. এঝিলান নাগানাথন ‘দ্রাবিড় প্রগতিশীল ফেডারেশনের (ডিএমকে) নেতৃত্ব গ্রহণ করুন এবং এই সপ্তাহে উদয়নিধি স্ট্যালিনের ছেলে ইনবানিথি উদয়ানিধি অ্যাসিডে আক্রান্ত হবেন। গোয়েন্দারা বুঝতেই পারবে না যে এটি একটি ভেতরের কাজ। এই পবিত্র শুক্রবারের জন্য পুলিশের মধ্যে ২০১৭ সাল থেকে বীজ বপন করা হয়েছে। নমুনা হিসেবে, আজ দিল্লি হাইকোর্টের বিস্ফোরণই আগের সতর্কতাগুলোর বিষয়ে সন্দেহ দূর করবে।’

ই-মেইলে আইইডি (বিস্ফোরক) ডিভাইসের অবস্থান ও নিষ্ক্রিয়করণের কোড জানতে একটি নাম ও ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এটি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ভুয়া বোমা হুমকির মধ্যে আরেকটি ঘটনা।

এর আগে এই সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়, মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ (এমএএমসি) এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্স (ইউসিএমএস) বোমা হামলার হুমকিবার্তা পেয়েছিল। হুমকিগুলোতে দাবি করা হয়েছিল, ওই স্থানগুলোতে এক কিলোমিটার বিস্ফোরণ ব্যাসার্ধের আরডিএক্স রাখা হয়েছে। তবে সব হুমকিই পরে ভুয়া বলে ঘোষণা করা হয়।

গত মাসে অন্তত ২০টি কলেজ হুমকিমূলক ই-মেইল পেয়েছিল, কিন্তু সেটিও পরবর্তী সময়ে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারণা করা হয়, হুমকিদাতা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে নিজের পরিচয় গোপন করেছিল।