ভারতের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন ৭১ বছর বয়সি এক আইনজীবী। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এ ঘটনা ঘটে। তবে জুতা মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতি বিচলিত না হয়ে আইনজীবীদের আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ কিশোর নামের ওই আইনজীবী সোমবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কোর্ট নম্বর ১-এ শুনানি চলাকালে তাঁর স্পোর্টস সু খুলে প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের দিকে ছুড়ে মারেন। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা ওই আইনজীবীকে আটক করে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি ময়ূর বিহার এলাকার বাসিন্দা এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধিত সদস্য। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে নয়াদিল্লি জেলা পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সমন্বয় করার চেষ্টা করছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির চত্বরে ‘ভগবান বিষ্ণু’র একটি মূর্তি পুনর্নির্মাণের আবেদন নিয়ে সম্প্রতি এক শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে ওই আইনজীবী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রণের সঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চে সভাপতিত্ব করার সময় প্রধান বিচারপতি গাভাই মন্তব্যটি করেন। সে সময় তিনি খাজুরাহো মন্দির চত্বরের জাভরি মন্দিরে ৭ ফুট লম্বা জরাজীর্ণ ‘ভগবান বিষ্ণু’র মূর্তি পুনর্নির্মাণের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতি গাভাই আবেদনকারীকে বলেছিলেন, ‘এটি পুরোপুরি প্রচারের স্বার্থে করা মামলা। আপনি যান এবং দেবতাকে নিজেকেই কিছু করতে বলুন। আপনি যদি নিজেকে ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত বলে দাবি করেন, তবে প্রার্থনা করুন এবং কিছুটা ধ্যান করুন।’
পরে প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, তিনি ‘সব ধর্মকে সম্মান করেন’। তিনি স্পষ্ট করেন, মূর্তিটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই)। এই পটভূমিতে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘আমি সব ধর্মে বিশ্বাস করি, আমি সব ধর্মকে সম্মান করি।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন