সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

ইরানকে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা পাঠাল ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

ইরান ও ইসরায়েলের পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

ইরান ও ইসরায়েলের পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চালানো ‘ব্যাপক’ হামলার পর একদিকে যখন যুদ্ধের আগুন জ্বলছে। অন্যদিকে ইসরায়েল এখন সংকেত দিচ্ছে সংঘাত থেকে সরে আসার। তবে এ শান্তির প্রস্তাব একতরফা নয় বরং এটি শর্তসাপেক্ষ এবং লক্ষ্য অর্জনের আত্মবিশ্বাস নিয়েই সামনে এসেছে তেল আবিব।

মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানের কাছে ইসরায়েলের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, ‘যুদ্ধে ইতি টানা যেতে পারে, যদি তেহরান কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মানে’। এই বার্তা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাদের কৌশলগত লক্ষ্য প্রায় পূরণ হয়ে এসেছে।

তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ইসরায়েলের চ্যানেল–১২ টেলিভিশনের দাবি, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের অভিযানের মাধ্যমে তেল আবিব মূলত ইরানকে তার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সরাতে চায়। ইসরায়েল মনে করছে, তাদের কৌশল সফল হচ্ছে এবং সময়মতো তারা অভিযান শেষ করতে পারবে।

তবে সংঘাত থামাতে প্রস্তুত হলেও ইসরায়েল বলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন ইরানের হাতে। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েল-কে বলেন, ‘যদি ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করে, তাহলে এখনই অভিযান বন্ধ করা সম্ভব। চুক্তির মাধ্যমেই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।’

আরব সূত্র বলছে, ইসরায়েল শান্তি চাইলেও ইরান এখনই পিছু হটছে না। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার যথাযথ জবাব না পাওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ থামাবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তেহরান।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা একাধিক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানায়, তেহরানে সরকার-নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে—ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায়, তাহলে পাল্টা আঘাত আরও তীব্র হবে।

এই সংঘাত থামাতে যেটি সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ‘প্রতিরোধমুখী’ মনোভাব। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, এখনো তিনি কঠোর অবস্থানেই অনড়।

চ্যানেল-১২ আরও জানায়, অভিযান বন্ধের দুটি পথ খোলা। একটি একতরফা ঘোষণা: ইসরায়েল বলবে তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে এবং অভিযান থেমেছে। আরেকটি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ সম্মত হয়ে অর্থাৎ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। কিন্তু তেল আবিব দ্বিতীয় পথকে তুলনামূলকভাবে ‘দুর্বল’ বলে মনে করছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, যৌথ হামলার মাধ্যমে ইরানকে আবারো আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু তারা একযোগে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, যদি তেহরান আবার পরমাণু কার্যক্রমে ফিরে আসে, তাহলে আরেক দফা সামরিক পদক্ষেপ নিতে তারা দ্বিধা করবে না।

সব মিলিয়ে, ইসরায়েল এখন ‘যুদ্ধ চালিয়েও শান্তি চাওয়া’র দ্বৈত কৌশলে এগোচ্ছে। একদিকে হামলা চলছে, অন্যদিকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠানো হচ্ছে। তেহরান কী বার্তা শোনে, সেটিই এখন নজরে গোটা অঞ্চলের।

Link copied!