যুদ্ধ থামানোর কোনো প্রশ্নই নেই: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত গাজায় চলমান যুদ্ধ থামবে না। তবে, জিম্মি মুক্তির শর্তে স্বল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় সোমবার (১২ মে) রাতে আহত আইডিএফ রিজার্ভ সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকের একটি ভিডিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হয়। খবরটি জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা, নিহত অন্তত ৮১

বিস্তারিত পড়ুন

নেতানিয়াহু বলেন, ‘পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে। খুব শিগগিরই আমরা গাজায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রবেশ করব। এই অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে হামাসকে নিষ্ক্রিয় ও ধ্বংস করা।

একইসঙ্গে আমাদের সব জিম্মিকে মুক্ত করাও একটি মূল উদ্দেশ্য। এই দুটি কাজ আমরা একসাথে সম্পন্ন করব এবং সেই পথেই এগোচ্ছি।’

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের সম্ভাব্য সমঝোতার জন্য ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘হয়তো হামাস বলবে আমরা আরও ১০ জন জিম্মি ছেড়ে দেব। খুব ভালো, ছেড়ে দাও। আমরা তাদের ফিরিয়ে নেব। তারপর আবার অভিযান শুরু করব। কিন্তু যুদ্ধ থামানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হয়তো একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তবে আমরা পূর্ণ বিজয়ের দিকেই অগ্রসর হচ্ছি।’

ফিলিস্তিনি জনগণ নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এমন একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, যাতে সাধারণ মানুষ গাজা ছাড়তে পারে। তবে তাদের গ্রহণে প্রস্তুত দেশ থাকতে হবে। এখন আমরা সেই বিষয়টিতেই কাজ করছি।’

তিনি দাবি করেন, ‘যদি তাদের চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে গাজার ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ গাজা ছেড়ে চলে যাবে। আমার ধারণা, এই সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। তবে হামাস আর গাজায় থাকবে না।’

বৈঠকে উপস্থিত ‘জয়ী সৈনিকদের ফোরাম’-এর সদস্য আহত সেনারা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে পূর্ণ সমর্থন জানান এবং যুদ্ধের লক্ষ্যে সফল হতে তাকে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানান।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আপনারা আমাদের প্রেরণা এবং উদাহরণ। আপনাদের আত্মত্যাগের শক্তিতেই আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগোচ্ছি।’