ঢাকা শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ‘উত্তপ্ত’ ফোনালাপ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের পরমাণু বিষয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপে তীব্র বাক্যবিনিময় হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ফোনালাপটি হয় গত সপ্তাহে। তবে এ দাবি অস্বীকার করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

যদিও মার্কিন প্রশাসনের একাধিক সূত্র বলছে, ফোনালাপে ট্রাম্প সরাসরি নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বা উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ যেন নেওয়া না হয়, যা চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে পারে।’

সূত্রের বরাতে জানা যায়, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেন, ইরানের সঙ্গে ‘দায়িত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তিতে আগ্রহী ট্রাম্প। তার কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইরানের সঙ্গে একটি কার্যকর ও ভালো চুক্তি করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আমি চাই, উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করতে।’

তবে আলোচনার পথ ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থাও বিবেচনায় রয়েছে বলে হুঁশিয়ার করেন ট্রাম্প।

অপরদিকে, ইসরায়েলের দাবি, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার উপযুক্ত সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন অনুমতি ছাড়াই নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিতে পারে- গোয়েন্দাদেরে এমন আশঙ্কার মুখে হয়েছে সেই তীব্র ফোনালাপ। এমনটাই ধারণা করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এই ফোনালাপের মাত্র একদিন আগেই ওয়াশিংটনের একটি মিউজিয়ামের বাইরে গুলিতে নিহত হন দুই ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মী। সেই প্রেক্ষিতেও ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে আরও সতর্ক আচরণ করতে বলেন; বিশেষ করে যখন ওয়াশিংটন-তেহরান আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।

প্রকাশ্যে বক্তব্য না দিলেও ‘বড় শত্রু’ রানের বিরুদ্ধে একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নিতে সংকোচ করবে না এমন ইঙ্গিত দিয়েছে নেতানিয়াহু।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রের মতে, ট্রাম্প এখন কূটনৈতিক পথকে প্রাধান্য দিতে চাইছেন। ওয়াশিংটনে অবস্থানরত মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমও সম্প্রতি ইসরাইল সফর শেষে জানান, তিনি নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন, ইরান ইস্যুতে দুই দেশের কৌশল যেন একসঙ্গে চলে।

ইরানের সঙ্গে এরই মধ্যে পাঁচ দফায় আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। সর্বশেষ গত শুক্রবার (২৩ মে) ইতালির রোমে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির পরোক্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই আমরা সুসংবাদ আশা করতে পারি।’