ইরানের পরমাণু বিষয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাব্য ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি ইসরায়েলি হামলায় বানচাল হওয়ার আশঙ্কায় ফোনালাপে তীব্র বাক্যবিনিময় হয়েছে গত সপ্তাহে। দুই দেশনেতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কি তবে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে?
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে বলে ইঙ্গিত দিলেও এখন ইসরায়েলের ওপরই রেগে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলি ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোনালাপের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য করেনি কোনো পক্ষ।
মার্কিন প্রশাসনের একাধিক সূত্র ইসরায়েলি হামলায় ইরানকে উসকানি থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ট্রাম্পের ‘দায়িত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে ইসরায়েল- এ আশঙ্কায় ফোনালাপ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি ইসরায়েলের। মার্কিন অনুমতি ছাড়াই নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন- গোয়েন্দাদের এমন আশঙ্কার মুখে সেই তীব্র ফোনালাপ হয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রের মতে, ট্রাম্প এখন কূটনৈতিক পথকে প্রাধান্য দিতে চাইছেন। ওয়াশিংটনে অবস্থানরত মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমও সম্প্রতি ইসরাইল সফর শেষে জানান, তিনি নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন, ইরান ইস্যুতে দুই দেশের কৌশল যেন একসঙ্গে চলে।
ইরানের সঙ্গে এরই মধ্যে পাঁচ দফায় আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। সর্বশেষ গত শুক্রবার (২৩ মে) ইতালির রোমে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির পরোক্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই আমরা সুসংবাদ আশা করতে পারি।’