ইরানের লাগাতার হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের নাগরিকসহ সেদেশে অবস্থারত পর্যটকরা। প্রাণ বাাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়া নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার মুখে অনেক বিদেশি পর্যটকও ইসরায়েল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতির দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের পর্যটন মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড্ররিত স্টেইনমেটজ বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দানি শাহার এই আহ্বান জানান।
তিনি লিখেছেন, পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গঠিত বিশেষ অনুমোদন কমিটির অনুমতির ভিত্তিতে এসব পর্যটকদের যেন আকাশপথে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়।
ওই বিশেষ কমিটি মূলত জরুরি মানবিক ও চিকিৎসাগত প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুরোধ যাচাই-বাছাই করছে।
চিঠিতে দানি শাহার উল্লেখ করেন, ‘এখন পর্যটকেরা গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের অনেকেই নির্ধারিত সময়ের বেশি ইসরায়েলে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত অবস্থাও ক্রমেই সংকটময় হয়ে উঠছে। অনেকেই নিজেদের পরিত্যক্ত ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর প্রতি আস্থাহীন বোধ করছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা অনুরোধ করছি, দেশে ফেরার (রিপ্যাট্রিয়েশন) বিশেষ ফ্লাইটগুলো যেন ইসরায়েল ত্যাগকারী পর্যটকদের জন্যও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমনটা বর্তমানে সমুদ্রপথে জাহাজ ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে করা হচ্ছে, যদিও সেগুলো এখন অতিরিক্ত চাপের মুখে রয়েছে।’
দানি শাহারের মতে, বিষয়টি শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং বড় রাজনৈতিক ও ভাবমূর্তির বিষয়ও। তিনি বলেন, ‘এই পর্যটকেরাই ভবিষ্যতে ইসরায়েলের শুভেচ্ছাদূত হয়ে উঠতে পারেন। অন্যদিকে, যদি তারা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করেন, তবে সেটি ইসরায়েলের ভাবমূর্তির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
এদিকে, মঙ্গলবার পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম চালু করেছে, যাতে যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলে আটকে পড়া পর্যটকেরা বিশেষ ফ্লাইটের জন্য আবেদন করতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার পর্যটক এই ফর্মে নাম নিবন্ধন করেছেন এবং দেশে ফেরার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।