ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছে বিশ্বজুড়ে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বক্তব্যের জেরে টক অব দ্যা ওয়ার্ল্ডে পরিণত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে তার দেশ ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়াবে নাকি না।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ট্রাম্প মনে করছেন ইরানের সঙ্গে আলোচনার ‘উল্লেখযোগ্য সুযোগ’ রয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন, তবে হামলা করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
সিবিএস আরও জানায়, ট্রাম্প ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যেটি ভূগর্ভে অবস্থিত, তাতে হামলা চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন ।কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন বোমা রয়েছে যা ওই ভূগর্ভস্থ স্থাপনাটি ধ্বংস করতে সক্ষম হতে পারে।
এদিকে,ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বৈঠকের পর তাদের আলোচনার বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে।
ল্যামি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ‘চরম বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে ইরানের পারমাণবিক ইস্যু সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আগামী দুই সপ্তাহে একটি সুযোগের জানালা উন্মুক্ত রয়েছে।’
রুবিওর মুখপাত্র জানিয়েছেন, উভয় নেতা একমত হয়েছেন যে, ‘ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জন করতে পারবে না।’
আপনার মতামত লিখুন :