ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

গাজা যেন আরেক কারবালা, পানি আনতে যাওয়া ৬ শিশুকে হত্যা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
গত ৯ মে ফিলিস্তিনি শিশুরা পানির পাত্র টেনে আনছে। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে ‘ইসরায়েলি’ হামলায় ৬ শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন। গাজা উপত্যকা যেন ইরাকের কারবালার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।

রোববার (১৩ জুলাই) গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। গাজায় কর্মরত জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল-নুসেইরাত ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে একটি পানির ট্যাংকারের পাশে খালি কনটেইনার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেক মানুষ। এ সময় ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র জনসমাগম লক্ষ্য করে আঘাত হানে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মরদেহ নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ১৬ জনের মধ্যেও অন্তত সাতজন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক।

ঘটনাস্থল থেকে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রক্তাক্ত শিশুদের মরদেহ পড়ে আছে, চারদিকে আতঙ্কিত মানুষের চিৎকার। স্থানীয় বাসিন্দারা গাধার গাড়ি ও অন্যান্য বাহনে করে আহতদের দ্রুত সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র জানিয়েছেন, আজ রোববার গাজার মধ্যাঞ্চল ও গাজা সিটিতে আবাসিক ভবনের ওপর চালানো তিনটি পৃথক হামলায় আরও অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন অংশে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৫৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লাখো মানুষ। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল ও বাসস্থানসহ বেসামরিক অবকাঠামো। অঞ্চলটির অধিকাংশ মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত এবং চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন।