চার বছরের ছোট্ট শিশু রাযান আবু জাহের আর পেরে উঠল না। অপুষ্টি ও চরম ক্ষুধার যন্ত্রণায় রবিবার সে মৃত্যুর কাছে হার মানে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের একটি হাসপাতালে তার কঙ্কালসার শরীর যখন পাথরের বিছানায় শুয়ে ছিল, তখনও কেউ বলতে পারছিল না—এই মৃত্যু থেমে যাবে কবে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের পর অন্তত ৭৬ জন শিশু এবং ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছে সরাসরি অপুষ্টি ও অনাহারের কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, মৃত্যুর এই ঢেউ প্রকট হয়েছে গত মার্চের শুরু থেকে, যখন ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সব পথ প্রায় বন্ধ করে দেয়।
শিশু রাযানের শেষ দিনগুলো
রাযানের সঙ্গে সিএনএনের প্রথম দেখা হয় এক মাস আগে। তখনও তার শরীরে মাংস বলতে কিছু ছিল না। শরীরের মাংসপেশি একেবারে শুকিয়ে গিয়ে শুধু হাড়ের গঠনটাই স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছিল।
তার মা তাহরির আবু দাহের বলেছিলেন, যুদ্ধের আগে ও খুব ভালো ছিল। কিন্তু এরপর থেকে কিছুই খেতে পারিনি। দুধ কেনার টাকা নেই, আর পেলেও বাজারে দুধই নেই।
রাযান তখন হাসপাতালের বিছানায় টানা ১২ দিন। সেখান থেকে আরও ২৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রবিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
মৃত্যুর এই ভয়াবহতা শুধু রাযান নয়—গত তিনদিনেই চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি শিশুর বয়স মাত্র তিন মাস।
এদিকে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে শনিবারও ১৮ জনের মৃত্যু রেকর্ড করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র: সিএনএন
আপনার মতামত লিখুন :