গাজায় কর্মরত ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা চরম খাদ্যসংকটে ভুগছেন। এমনকি ক্ষুধায় অনেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এএফপি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় কর্মরত তাদের ১০ জন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকের মধ্যে একজন গত ১৯ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করার মতো শক্তি পাচ্ছি না। আমার শরীর শুকিয়ে গেছে, আমি আর কাজ করতে পারছি না।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গাজায় অবস্থানরত অধিকাংশ কর্মী এখন তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন এবং পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও খারাপ হচ্ছে। তাদের সাহায্যের আবেদন এখন আমাদের দৈনন্দিন বাস্তবতা। আমরা আতঙ্কে রয়েছি—যেকোনো মুহূর্তে সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর শুনতে হতে পারে। এটা আমাদের কাছে সহ্য করা অসম্ভব।
সংগঠনটি জানায়, সাংবাদিকদের নিয়মিত মাসিক বেতন দিলেও গাজার বাজারে প্রায় কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না, আর যেটুকু পাওয়া যায়, তার দাম আকাশচুম্বী। খাদ্য ও ওষুধের জন্য টাকা কোনো কাজে আসছে না। পণ্যের অভাব আর অবিশ্বাস্য দামে সবকিছু আমাদের সহকর্মীদের বাঁচার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এএফপি ১৯৪৪ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা অনেক সহকর্মীকে সংঘর্ষে হারিয়েছি, কেউ আহত হয়েছেন, কেউ বন্দি হয়েছেন। কিন্তু আমাদের কারোরই মনে পড়ে না যে, কোনো সহকর্মীকে ক্ষুধায় মরতে দেখেছি। আমরা তা মেনে নিতে পারি না।
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও জীবন এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। সংবাদপত্রের কলম থেমে যাওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছে সাংবাদিক সমাজ।

 
                             
                                    
-20250721085235.webp)
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন