ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হামলার বিষয়টি প্রথম নিশ্চিত করেছে হুথি সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, লোহিত সাগর উপকূলীয় হোদেইদা শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটা ১২টি হামলা চালানো হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উপকূলীয় শহরটিতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে এলাকাটি খালি করার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করেছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচায় আদরাই এক্স-এ বলেছেন, ‘আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা হোদেইদা বন্দরের সকলকে এবং সেখানে নোঙর করা জাহাজগুলোকে অবিলম্বে এলাকাটি খালি করার জন্য অনুরোধ করছি।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার পর থেকে হুথিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এই হামলার জবাবে, ইসরায়েল ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন অবকাঠামোতে আঘাত করেছে এবং বেসামরিক এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে, হুথিরা লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর আইলাতের কাছে ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দরে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে দুইজন আহত হয়েছে। রোববারের হামলার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং আল-জাওফ গভর্নরেটে ইসরায়েলি হামলায় বুধবার কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। পরদিন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
গত মাসের শেষের দিকে, ইসরায়েল সানায় বিমান হামলায় হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাবিকে হত্যা করেছে। দলটি তার এবং মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্যের মৃত্যুর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার শপথ নিয়েছে। হত্যার কয়েক সপ্তাহ পর, হুথিদের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন