ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ২৫০০’র বেশি ফিলিস্তিনি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
জিকিম ক্রসিংয়ে এক ত্রাণকেন্দ্রের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তেল আবিব ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বিতসেলেম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। উত্তর গাজায় তীব্র দুর্ভিক্ষের মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ আটকে আছেন, সেখানেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে সংস্থাটির বরাতে জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বৃহস্পতিবার জিকিম ক্রসিং থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জানায়, উত্তর গাজার জন্য সাহায্য পৌঁছানোর একমাত্র প্রবেশপথ ছিল এটি, যা ১২ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়। হতাশ লোকজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে খাদ্য সংগ্রহ করতে এলেও সেখানে তাদের স্বাগত জানানো হয়েছে ইসরায়েলি গুলিতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ত্রাণের ট্রাক আসার সঙ্গে সঙ্গেই লোকজন ছুটে গেলে শুরু হয় গুলি। অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হন। উদ্ধারকারীরা কাছেও যেতে পারেননি।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন আহমাদ আবু রুকবা। তার ভাই তালাল জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার পর তারা একটি আটাভর্তি বস্তা সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। ফেরার পথে আবার গুলি শুরু হলে আহমাদের বুকে গুলি লাগে। তালাল নিজের জামা দিয়ে রক্ত থামানোর চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যেই আহমাদ মারা যান।

বিতসেলেমের হিসাবে, মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণের জন্য আসা ২৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত এবং প্রায় সাড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সংস্থাটি ইসরায়েলকে গাজায় চলমান গণহত্যার অংশ হিসেবে ‘দুর্ভিক্ষকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের’ অভিযোগ তুলেছে।


২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর অধিকাংশই নারী ও শিশু। অব্যাহত বোমাবর্ষণে এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং তীব্র খাদ্যসংকট ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে।