ঢাকা শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

‘টেকনোক্র্যাট’ সরকারের কাছে গাজার শাসনভার হস্তান্তরে রাজি হামাস

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
সংবাদমাধ্যমে কথা বলছেন হামাসের এক সদস্য। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘টেকনোক্র্যাট সরকারের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হয়েছে গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। সম্প্রতি কায়রোতে মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোষ্ঠীটির নেতারা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নিজেদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতিতে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছে, ‘আমরা গাজা উপত্যকার প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে হস্তান্তরে রাজি আছি। আমরা আশা করছি, প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট সরকার গাজার প্রশাসন ভালোভাবে পরিচালনা করবে, উপত্যকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব ভাইদের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।’

গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০টি দফা ‘শান্তি পরিকল্পনা’ পেশ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল ও হামাস উভয়ে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়।

ট্রাম্পের ২০ পয়েন্টের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বাধামুক্ত করা হবে এবং যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের শেষে গাজায় একটি নিরপেক্ষ, অরাজনৈতিক ও অসামরিক সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারকেই ট্রাম্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছে ‘টেকনোক্র্যাট’ সরকার।

এর আগে হামাসের নেতারা বলেছিলেন, গাজায় প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট সরকারের অংশ হতে চায় গোষ্ঠীটি এবং সরকারের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকতে চায়। বৃহস্পতিবার মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই অবস্থান থেকে সরে এলো গোষ্ঠীটি।

মিসরের সঙ্গে হামাসের গভীর আস্থার সম্পর্ক রয়েছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকে যে তিনটি দেশ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল—তাদের মধ্যে মিসর অন্যতম। বাকি দুই দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার।

বৃহস্পতিবার মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফাতাহর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে হামাস। সেই বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির হাইকমান্ড বলেছে, বর্তমানে তাদের লক্ষ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং এই লক্ষ্য অর্জনে ফিলিস্তিনি সক্রিয় সব রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চায় হামাস।