শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম

গাজায় ২০ হাজার আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক বিপর্যয়ও এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ট্রাম্প বলেন, খুব শিগগির এটা হবে। গাজা নিয়ে সবকিছুই ভালোভাবে এগোচ্ছে। তিনি জানান, ‘খুব শক্তিশালী কয়েকটি দেশ’ স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছে। এই বাহিনী হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করবে। যদিও হামাস এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিছু বলেনি।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সদস্য দেশগুলো। সেখানে দুই বছরের মেয়াদে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও স্থিতিশীলতা বাহিনী অনুমোদনের প্রস্তাব তোলা হবে। এই বাহিনীর দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখা ও ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, গাজায় পাঠানো যেকোনো স্থিতিশীলতা বাহিনীর ‘পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা’ থাকতে হবে, যাতে তা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, গতকাল থেকেই এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য ও কয়েকটি আঞ্চলিক মিত্রের কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক এ প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এতে ২০ হাজার সেনার একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা প্রয়োজনে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে’। অর্থাৎ, প্রয়োজন হলে তারা বল প্রয়োগও করতে পারবে।

ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে সংগঠনটি এখনো রাজি হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থিতিশীলতা বাহিনীর একটি দায়িত্ব হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও ‘আক্রমণাত্মক অবকাঠামো’ ধ্বংস করা এবং তা পুনর্গঠন ঠেকানো।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ফলেই ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি ও এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। তবে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও কঠোর বাধা দিয়ে ইসরায়েল বারবার এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।

এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। দেশটি হামাসকে শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছে এবং স্থিতিশীলতা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছে। এ লক্ষ্যে তারা এ সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছে।

তুরস্ক বারবার ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছে। ইস্তাম্বুলের বৈঠকেও তারা জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনোভাবেই তুর্কি উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।

ইসরায়েল বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে। সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজার নিরাপত্তা দায়িত্ব রাখবে, যার মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা ঘেরাও বা নিরাপত্তাবেষ্টনী। মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত মাসে গাজা সফরে গিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে না।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!