ইসলামাবাদ হাই কোর্টের (আইএইচসি) পাঁচ বিচারপতি তাদের বদলি-সংক্রান্ত মামলার শুনানি ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টে (এফসিসি) হওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদন দাখিল করেছেন। আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) এফসিসিতে নির্ধারিত ইনট্রা-কোর্ট আপিল (আইসিএ) শুনানির আগেই তারা এই আবেদন করেন।
আবেদনকারী পাঁচ বিচারপতি হলেন—মহসিন আখতার কিয়ানি, বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গীরী, বিচারপতি বাবর সাত্তার, বিচারপতি সরদার এজাজ ইসহাক খান এবং বিচারপতি সামান রিফাত ইমতিয়াজ।
জাস্টিসদের আবেদনে বলা হয়, তাদের শুনানি সংবিধানের ১৭৫ই বা ১৭৫এফ অনুচ্ছেদের আওতায় পড়ে না। তাই এফসিসিতে মামলাটি স্থানান্তর করা আইনগতভাবে অবৈধ। তারা এফসিসিকে অনুরোধ করেছেন মামলাটি পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে ফেরত পাঠানোর জন্য।
বিচারপতিদের দাবি, এই আপিলটি দাখিল হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, সুপ্রিম কোর্ট (অনুশীলন ও পদ্ধতি) আইন, ২০২৩-এর ৫ ধারায়, যা ২৭তম সংশোধনীতে সংশোধিত হয়নি। ফলে ১৭৫এফ(২)–এর আওতায় এ মামলাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এফসিসিতে স্থানান্তরের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের প্রধান বিচারপতি আমিনুদ্দিন খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ ২৪ নভেম্বর মামলাটি শুনবে। বেঞ্চে থাকবেন—জাস্টিস হাসান আজহার রিজভি, জাস্টিস কে কে আগা, জাস্টিস আমের ফারুক, জাস্টিস আলী বাকির নাজফি, জাস্টিস রোজি খান বারেচ এবং জাস্টিস আরশাদ হুসেইন শাহ।
এই আইসিএ মূলত সুপ্রিম কোর্টের দেয়া সেই রায়ের বিরুদ্ধে, যেখানে পাঁচ বিচারপতির আইএইচসিতে বদলি বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। আবেদনে বিচারপতিরা আরও উল্লেখ করেন, ২৭তম সংশোধনী অনুযায়ী এফসিসি প্রতিষ্ঠিত, তাই এটি নিজস্ব সাংবিধানিক বৈধতা নির্ধারণ করতে পারে না। আদালত নিজেই যদি নিজস্ব বৈধতা নিয়ে রায় দিতে বাধ্য হয়, তবে এটি হবে অস্বস্তিকর ও অনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তারা সাবির শাহ মামলার নজির তুলে ধরে বলেন, কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল তার প্রতিষ্ঠাকালীন আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণার ক্ষমতা রাখে না। ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত কেবল তার নিজস্ব সাংবিধানিকতা নিশ্চিত করতে পারে।

