ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

হাসিনার বিরুদ্ধে পূর্বাচলের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি- সংগৃহীত

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির এক মামলায় আগামী ২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত রায়ের দিন ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করেছে আদালত।

রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তারিখ ঘোষণা করেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অভিযোগে জানা যায়, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা যেসব প্লট নিয়েছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না। দুর্নীতি ও মিথ্যা হলফনামা দিয়েই এসব প্লট নিয়েছেন তারা।

মামলাগুলোর নথিপত্র অনুযায়ী, ঘটনার শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর, যখন দুদক এই প্লট বরাদ্দের অনিয়ম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে সংস্থাটি জানতে পারে, পূর্বাচল নতুন শহরের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের আশপাশে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ৯) রয়েছে, যা রাজউক তাকে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দপত্র দেয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের (প্লট নম্বর ১৫) বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বরাদ্দপত্র দেয়া হয় ২০২২ সালের ২ নভেম্বর। শেখ রেহানার নামে ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ১৩) বরাদ্দ আছে। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১১ এবং আজমিনা সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১৯। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করে।

চলতি বছরের ১০ মার্চ ছয় মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে দুদক। পরে ৩১ জুলাই থেকে ঢাকার চতুর্থ ও পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।