২০২৩ সালের ইউএস ওপেনে নিজের ক্যারিয়ারের ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি জিতে টেনিস কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। তখন মনে করা হচ্ছিল, নারী-পুরুষ মিলিয়ে এককে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডটি তার একার করে নেওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
তবে এর প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার দেখা পাননি সার্বিয়ান টেনিস সম্রাট। জোকোভিচের অপেক্ষার প্রহর যেন আরও দীর্ঘ করে, গত ছয়টি গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন টেনিসের নতুন প্রজন্মের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র কার্লোস আলকারাজ ও ইয়ানিক সিনার।
আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া উইম্বলডনকে তাই ৩৮ বছর বয়সী জোকোভিচের স্বপ্নপূরণের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এবারের উইম্বলডনে যদি তিনি ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিততে না পারেন, তাহলে হয়তো এই লক্ষ্য তার জন্য অধরাই থেকে যাবে। একই সঙ্গে রজার ফেদেরারের আটবার উইম্বলডন জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করার স্বপ্নও হয়তো অপূর্ণই থেকে যাবে।
ফর্মের অবনতির কারণে এবারের আসরে জোকোভিচ ষষ্ঠ বাছাই হিসেবে খেলছেন। গত দুই উইম্বলডন ফাইনালও তিনি আলকারাজের কাছে হেরেছেন।
অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, যদি এবারও জোকোভিচ তার কাঙ্ক্ষিত ২৫তম শিরোপা জিততে না পারেন, তাহলে বছর শেষে টেনিসকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।
এবারের উইম্বলডনে টিকে থাকলে সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর তারকা সিনারের মুখোমুখি হতে পারেন জোকোভিচ। আর ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ হতে পারেন হ্যাটট্রিক শিরোপা প্রত্যাশী আলকারাজ। এই লড়াইগুলোই হয়তো নির্ধারণ করবে জোকোভিচের ভবিষ্যৎ।
অন্যদিকে, মেয়েদের এককে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বারবোরা ক্রেজিকোভা চোটের কারণে লড়াই করছেন। তাই এবারের আসরে ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছে শীর্ষ বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কা, দ্বিতীয় বাছাই কোকো গফ এবং ইগা সিওনতেককে।
উইম্বলডনের সবুজ ঘাসে কে শেষ হাসি হাসেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
