সঠিক ঘুমের অভ্যাসে অবহেলা নয়, বালিশ ছাড়া ঘুমও হতে পারে স্বাস্থ্যকর।অনেকেই মনে করেন, বালিশ ছাড়া ঘুমানো অস্বস্তিকর বা শরীরের ক্ষতি করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক নিয়মে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। বিশেষ করে ঘাড়, পিঠের ব্যথা বা মেরুদণ্ডের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য বালিশ ছাড়া ঘুমানো হতে পারে কার্যকর সমাধান।
বালিশ ছাড়া ঘুমানোর উপকারিতা
ঘাড় ও মেরুদণ্ড সোজা থাকে
বালিশ ছাড়া ঘুমালে ঘাড় ও মেরুদণ্ডের প্রাকৃতিক বিন্যাস ঠিক থাকে। ফলে ঘাড়ে টান লাগা বা ব্যথার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
কোমর ও পিঠের ব্যথা কমায়
বিশেষ করে যারা পিঠে ব্যথা বা কোমরের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য বালিশ ছাড়া ঘুমানো উপকারী। এতে মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না।
মুখে বলিরেখা পড়ার ঝুঁকি কমে
বালিশে চাপ লেগে রাতে ঘুমের সময় মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়ে। বালিশ ছাড়া ঘুমালে এই সমস্যার ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
ব্রণের ঝুঁকি কমে
অনেক সময় বালিশের কাপড় বা বালিশে জমে থাকা ধুলাবালি-ব্যাকটেরিয়া ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করে। বালিশ ছাড়া ঘুমালে এই ঝুঁকি কমে।
স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে
সঠিক ভঙ্গিতে বালিশ ছাড়া ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ অবরুদ্ধ হয় না, ফলে ঘুম গভীর ও আরামদায়ক হয়।
স্লিপিং পজিশন ঠিক থাকে
বালিশ ছাড়া ঘুমালে শরীরের ভঙ্গি সহজাত থাকে, যা ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে।
কারা বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারেন?
যাদের ঘাড় বা পিঠের ব্যথা আছে
যারা সোজা বা চিত হয়ে ঘুমান
যাদের ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয় না
কারা বালিশ ছাড়া ঘুমানো এড়িয়ে চলবেন?
যাদের পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে
যাদের ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট বা সাইনাসের সমস্যা হয়
গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
হঠাৎ পুরোপুরি বালিশ বাদ না দিয়ে ধীরে ধীরে অভ্যাস তৈরি করা ভালো
চাইলে পাতলা তোয়ালে বা খুব পাতলা বালিশ ব্যবহার করে শুরু করা যায়
ঘাড় বা পিঠে অস্বস্তি হলে অবশ্যই বালিশ ব্যবহার করা উচিত
বালিশ ছাড়া ঘুমানো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হলেও, সঠিক নিয়মে অভ্যাস করলে এটি ঘাড়-পিঠের ব্যথা কমানো, শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখা ও ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে বালিশের প্রয়োজন হতে পারে। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে, ধীরে ধীরে সঠিক ঘুমের ভঙ্গি নির্বাচন করাই সবচেয়ে ভালো।