উত্তর মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজ শহরের একটি বেসরকারি শ্মশান (সেমিট্রি) থেকে ৩৮১টি মরদেহ অদাহ অবস্থায় স্তূপীকৃতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। চিহুয়াহুয়া রাজ্যের প্রসিকিউটর অফিস একে মারাত্মক অবহেলার উদাহরণ বলে অভিহিত করেছে।
প্রসিকিউটরের মুখপাত্র এলোয় গার্সিয়া বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘শ্মশানটিতে মরদেহগুলো যথাযথভাবে দাহ করা হয়নি। বিভিন্ন কক্ষে তারা এভাবে একজনের উপর আরেকজন স্তূপ করে ফেলে রাখা ছিল, অনেককে মেঝেতেও ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল।’
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মরদেহগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ওই শ্মশানে জমা ছিল এবং কিছু দেহাবশেষ দুই বছর আগেরও হতে পারে। এদের দেহাবশেষ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের পূর্বের প্রতিবেদনে ঘটনাস্থলে প্রাথমিকভাবে ৬০টি মরদেহ পাওয়ার কথা বলা হলেও পরে প্রকৃত সংখ্যা ৩৮১-এ পৌঁছায়।
অভিযোগ উঠেছে, স্বজনদের মৃতের ছাই না দিয়ে অন্য বস্তু হস্তান্তর করা হয়েছিল। গার্সিয়া বলেন, ‘শ্মশানের মালিকদের উচিত ছিল জানানো, তারা দিনে কতটা শবদাহ করতে পারে। এর বেশি গ্রহণ করা সরাসরি দায়িত্বহীনতা।’
এ ঘটনায় শ্মশানটির একজন প্রশাসক ইতোমধ্যে নিজেই প্রসিকিউটরের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে, এই মরদেহগুলো অপরাধমূলক সহিংসতার শিকার কি না, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে সংগঠিত অপরাধ ও সহিংসতার কারণে ফরেনসিক ব্যবস্থার ওপর দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। কর্মী সংকট, বাজেট ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত সুবিধার কারণে বহু মরদেহ যথাযথভাবে শনাক্ত বা দাহ করা সম্ভব হয় না।
ঘটনাটি সামনে আসার পর দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং শ্মশান ব্যবস্থাপনার উপর আরও কঠোর নজরদারির দাবি উঠেছে।
