ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত

শরীরের শক্তি বাড়াতে বিটরুট, তবে আছে কিছু সতর্কতাও।বিটরুট আমাদের দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় একটি সবজি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Beetroot, এটি মূলত এক ধরনের শিকড়জাতীয় সবজি, যা রক্ত বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তবে শুধু রক্ত বাড়ানোই নয়, বিটরুটে রয়েছে আরও অসংখ্য পুষ্টিগুণ। তবে সঠিক নিয়মে না খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।

বিটরুটে যা থাকে

আয়রন
ফলেট
ভিটামিন-সি
ফাইবার
পটাশিয়াম
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (বেটালেনস)
নাইট্রেট

বিটরুট এর উপকারিতা

রক্ত স্বল্পতা দূর করে

বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও ফলেট থাকে, যা শরীরের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

শক্তি বাড়ায়

বিটরুট শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে ক্লান্তি দূর হয় এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খেলোয়াড়দের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।

হজমশক্তি উন্নত করে

বিটরুটে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।

ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক

গবেষণায় দেখা গেছে, বিটরুটের বেটালেনস নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের কোষে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

বিটরুটে থাকা ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

বিটরুটে থাকা কিছু উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মন ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

বিটরুট এর অপকারিতা

অতিরিক্ত খেলে বাথরুমের রঙ পরিবর্তন

অনেক সময় বেশি বিটরুট খেলে প্রস্রাব বা মল লালচে রঙের হতে পারে, যা ভয়াবহ কিছু নয়, তবে অনভিজ্ঞদের জন্য আতঙ্কজনক মনে হতে পারে।

কিডনির পাথরের ঝুঁকি

বিটরুটে অক্সালেট থাকে, যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে কিডনির পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের সতর্ক থাকা উচিত।

নিম্ন রক্তচাপ সমস্যা

বিটরুট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কার্যকর, তাই যাদের রক্তচাপ আগে থেকেই কম, তাদের জন্য অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

অ্যালার্জি বা পেটের অস্বস্তি

অনেকের বিটরুটে অ্যালার্জি হতে পারে বা পেটে অস্বস্তি, গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

বিটরুট খাওয়ার সঠিক উপায়

কাঁচা সালাদে ব্যবহার করা যায়
জুস বা স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যায়
সেদ্ধ বা রান্না করে খাওয়া যায়
দিনে আধা কাপ বা মাঝারি পরিমাণে খাওয়াই নিরাপদ

বিটরুট স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, বিশেষ করে রক্তস্বল্পতা দূর করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ত্বক-শরীর ভালো রাখতে। তবে অতিরিক্ত খেলে কিডনির পাথর বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত ও সঠিক নিয়মে বিটরুট খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।