ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী প্রাথমিক জয়ে ‘বাঙালি আন্টি’দের ধন্যবাদ দিলেন জোহরান

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচনে প্রাথমিক পর্যায়ে জয়লাভকারী জোহরান মামদানি। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ৩৩ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম তরুণ জোহরান মামদানি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিজয় ভাষণে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশি অভিবাসীদের, বিশেষ করে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালানো বাঙালি আন্টিদের’।

আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জোহরান। তিনি নির্বাচিত হলে হবেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম মুসলিম মেয়র।

ইকনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় জন্ম নেওয়া জোহরান সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে নিউইয়র্কে আসেন।

২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। তার মা বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার এবং বাবা মাহমুদ মামদানি, যিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান অধ্যাপক।

রাজনীতিতে নবাগত হলেও তার প্রস্তাবিত জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলো নিউইয়র্কের সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে প্রবাসী দক্ষিণ এশীয়দের হৃদয় জয় করেছে।

জোহরান তার প্রচারণায় স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্য মূল্যের মুদিদোকান চালু, দুই লাখ স্বল্পমূল্যের অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, ভাড়ানিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্টে চার বছরের জন্য ভাড়া না বাড়ানোর অঙ্গীকার, নিখরচায় শিশু পরিচর্যা ও বিনা ভাড়ার সরকারি বাস চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ঘোষণাগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। তাঁদের কাছে পৌঁছাতে জোহরান ও নিউইয়র্কের প্রথম নির্বাচিত বাংলাদেশি নারী কাউন্সিলর শাহানা হানিফ যৌথভাবে বাংলায় একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। ওই দিন শাহানাও ডেমোক্রেটিক পার্টির কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন।

ভাষণে জোহরান বলেন, ‘আমার জয়ের পেছনে যারা আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন আমাদের কমিউনিটির বাংলাদেশি আন্টিরা। তাদের ভালোবাসা, শ্রম ও দৃঢ়তায় এই জয় সম্ভব হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ।’

জোহরানের এই বক্তব্য নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম তরুণের মেয়র হওয়ার সম্ভাবনা নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচন করবে।