ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পরিকল্পনায় কানাডার ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পরিকল্পনা করায় কানাডার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, ‘আশ্চর্য! কানাডা এখন বলছে তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এতে তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করাটা খুবই কঠিন হবে। বাহ, কানাডা!’

তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানানো হয়েছে।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি একদিন আগেই ঘোষণা দেন যে, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ হলে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। এর আগে একই ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যা ১ আগস্টের আগেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা। ট্রাম্প প্রশাসন হুমকি দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডার ক্ষেত্রে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় না থাকা কানাডার সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

মার্ক কার্নি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা গঠনমূলক হলেও নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা শেষ হবে কি না সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধানের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি’, যা কানাডার দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক নীতির অংশ। তবে তিনি যোগ করেন, এই স্বীকৃতি নির্ভর করবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর।

কার্নি আরও বলেন, এই স্বীকৃতি পেতে হলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যেখানে হামাস কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং ফিলিস্তিনকে অবশ্যই নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মতে, এই নীতির মাধ্যমে ‘হামাসকে পুরস্কৃত করা’ হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই ‘ইসরায়েল’র কঠোর সমর্থক এবং গাজার যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গণহত্যার অভিযোগ সত্ত্বেও তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।

২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ‘ইসরায়েলি’ সামরিক বাহিনী গাজায় ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে।