যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই পক্ষকে একে অপরের কাছে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । সোমবার (১১ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ট্রাম্প।
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূমি দখল করে রেখেছে, অন্যদিকে ইউক্রেনের দখলে রুশ কোনো ভূখণ্ড নেই। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, ‘কিছু ভূমি অদলবদল হবে। রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চল দখল করে রেখেছে, আমরা চেষ্টা করব এর কিছু অংশ ফেরত আনতে।’ এদিকে ইউক্রেনের দখলে কোনো রুশ ভূখণ্ড না থাকায় এবং রুশ কোনো ভূখণ্ডে ইউক্রেনের দাবি না থাকায় কীভাবে দুই পক্ষের মধ্যে ভূমি অদল-বদল হবে তা জানেন না বিশ্লেষকেরা।
আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেখানে এ বিষয়েই মূলত আলোচনা হবে বলে জানান টাম্প। তার মতে, বৈঠকের লক্ষ্য হবে একটি সম্ভাব্য চুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমি পুতিনকে বলব—এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে। আপনাকে এটি করতেই হবে।’ তিনি দাবি করেন, মাত্র দুই মিনিটের আলোচনাতেই বুঝে ফেলতে পারবেন পুতিন কোনো চুক্তিতে আগ্রহী কি না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ভবিষ্যতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন, যার উদ্দেশ্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দ্রুত থামানো।
ট্রাম্প এর আগেও যুদ্ধবিরতির জন্য ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর আশঙ্কা, রাশিয়াকে বড় ধরনের ছাড় দিলে ভবিষ্যতে পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।