আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লালগালিচা বিছিয়ে স্বাগত জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম তাঁরা মুখোমুখি বৈঠক করলেন। এছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর শুক্রবারই (১৫ আগস্ট) প্রথম পশ্চিমা মাটিতে পা রাখলেন পুতিন। দেখা হওয়ার পর থেকেই দুজনের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের প্রকাশ দেখা গেছে।
অন্য কোনো বিশ্বনেতাকে এমনভাবে অভ্যর্থনা জানাননি ট্রাম্প। বিমানঘাঁটির টারম্যাকে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে ‘বন্ধু’ পুতিনের অপেক্ষা করলেন ট্রাম্প। পুতিন এগিয়ে আসতেই ট্রাম্প হাততালি দিতে থাকলেন। এরপর উষ্ণ করমর্দন ও হাসিমুখে একে অপরকে স্বাগত জানালেন। পুতিনকে নিজের গাড়ীতেও চড়ালেন ট্রাম্প।
তবে যে দেশের মানুষ ট্রাম্পের কাছ থেকে শান্তির আশা করছিলেন, সেই ইউক্রেন থেকে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠকের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পুতিনের প্রেসিডেনশিয়াল বিমান থেকে নামার সিঁড়ির নিচে মার্কিন সেনারা হাঁটু গেড়ে বসে লালগালিচা ঠিক করছেন।
ইউক্রেনের অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থার সাবেক প্রধান মুস্তাফা নায়েম ছবিটি শেয়ার করে ব্যঙ্গ করে লিখলেন—‘মেক নিইলিং গ্রেট অ্যাগেইন’ (হাঁটু গেড়ে বসাকে আবার মহৎ করো)।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক
যদিও নিজেকে ‘চুক্তির কারিগর’ বলতে পছন্দ করেন ট্রাম্প। তবে পুতিনের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো বড় অগ্রগতি হয়নি। তবুও ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এই বৈঠককে দশের মধ্যে দশ দিয়েই মূল্যায়ন করব।’
তবে তাঁরা কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং পুরোনো বন্ধুত্ব আবারও ঝালিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। বরং জেলেনস্কির কোর্টে বল ঠেলে দিলেন ট্রাম্প। বললেন, ‘এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দায়িত্ব। তাঁকে এই আলাস্কা বৈঠককে কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার তিন বছরের আক্রমণ শেষ করার মতো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এখন এটা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দায়িত্ব। ইউরোপীয় দেশগুলোকেও কিছুটা ভূমিকা রাখতে হবে। তবে মূলত জেলেনস্কির হাতেই বিষয়টা।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন