মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে সংঘাতের সমাধান সহজ হবে ভেবেছিলেন তিনি, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বহুল আলোচিত আলাস্কা সামিটের এক মাস পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।
ওই বৈঠকে ইউক্রেন সংকট নিয়ে ট্রাম্প ও পুতিন উচ্চপর্যায়ের শান্তি আলোচনায় মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, প্রথমে রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবে এবং প্রয়োজনে ট্রাম্প, পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। তবে এখনো সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ম্যাক্রোঁ তাকে কয়েকটি যুদ্ধ সমাধানে সাহায্য করেছেন। সাতটি যুদ্ধ সমাপ্ত করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে ট্রাম্প জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার ‘সবচেয়ে বড় হতাশা’ হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি সবচেয়ে সহজ সমাধান হবে, পুতিনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কারণে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সম্পর্কের কোনো মানেই ছিল না।’ ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি সাতটি যুদ্ধ শেষ করেছেন, যেখানে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটছিল। তার ভাষায়, ‘এটি এমন কাজ যা আগে কোনো প্রেসিডেন্ট বা রাষ্ট্রনেতা করতে পারেননি।’
জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়েও ট্রাম্প তীব্র সমালোচনা করেন। তার অভিযোগ, সংস্থাটি যুদ্ধ বন্ধের জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি, শুধু ফাঁকা বুলি আওড়েছে। আর ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়।
সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থানেও পরিবর্তন এসেছে। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান যদি তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে, তবে সেটি গুলি করে নামাতে হবে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক বার্তায় তিনি আরও লেখেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ইউক্রেন হারানো অঞ্চলগুলো ফিরে পেতে পারে এবং যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন