শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম

ট্রাম্পকে ‘নারীবিদ্বেষী’, ‘ইসলামবিদ্বেষী’ বললেন লন্ডনের মেয়র

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাদিক খান। ছবি- সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাদিক খান। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে তাকে ‘বর্ণবাদী’, ‘যৌনতাবাদী’, ‘নারীবিদ্বেষী’ ও ‘ইসলামবিদ্বেষী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) এক ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, লন্ডন নাকি শরিয়া আইন প্রয়োগ করতে চাইছে এবং সাদিক খানকে তিনি ‘ভয়ংকর মেয়র’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

এর জবাবে আজ বুধবার সাংবাদিকদের সাদিক খান বলেন, ‘মানুষ হয়তো ভাবছে, একজন মুসলিম মেয়র কীভাবে একটি বহুসাংস্কৃতিক, প্রগতিশীল ও সফল শহর পরিচালনা করছেন। এর মানে হলো আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার ভেতরে ভাড়ামুক্ত জীবনযাপন করছি।’

খান আরও বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যা দেখিয়েছেন তা হলো, তিনি বর্ণবাদী, যৌনতাবাদী, নারীবিদ্বেষী এবং ইসলামোফোবিক।’

এর আগে লন্ডন সিটি হল এক বিবৃতিতে জানায়, ‘লন্ডন বিশ্বের অন্যতম বড় শহর এবং অনেক মার্কিন শহরের তুলনায় বেশি নিরাপদ। আমরা এখানে রেকর্ডসংখ্যক মার্কিন নাগরিককে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত।’

যুক্তরাজ্যে শরিয়া আইন চালুর দাবি প্রসঙ্গে সরকারি নথি বলছে, শরিয়া কাউন্সিল কেবল পারিবারিক সমস্যার সমাধান করে থাকে এবং তাদের সিদ্ধান্ত আইনত বাধ্যতামূলক নয়।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব ওয়েস স্ট্রিটিংও সাদিক খানের পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘সাদিক খান লন্ডনে শরিয়া আইন চাপিয়ে দিতে চাইছেন না। তিনি গর্বের সঙ্গে বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং শহরের পরিবহন, নিরাপত্তা ও জনজীবন উন্নত করার জন্য কাজ করছেন।’

ট্রাম্পের সঙ্গে সাদিক খানের বিরোধ নতুন নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করলে খান একে ‘অপমানজনক’ বলেছিলেন। পরে তিনি ট্রাম্পের ইসলামবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘অজ্ঞতাপূর্ণ’ আখ্যা দেন। এর জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি সেই মন্তব্যগুলো মনে রাখব।’

২০১৯ সালে দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে খান যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পকে রাষ্ট্রীয় সফরে স্বাগত জানানোর সমালোচনা করেছিলেন। পরে আরেকটি লেখায় তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে ‘স্বৈরশাসকদের খেলার বই’ থেকে নেওয়া বলেও অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আবারও খানের সমালোচনা করে তাকে ‘দুষ্টু ব্যক্তি’ বলে আখ্যা দেন। তবে ট্রাম্পের বক্তব্য থামিয়ে স্টারমার খানকে নিজের ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সূত্র: সিএনএন

Link copied!