নিকোলাস লেম্যানের সাম্প্রতিক বই ‘দ্য রিপাবলিকান আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আফটার ট্রাম্প’ ট্রাম্পবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। বইটিতে দেখা যায়, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির ঐতিহ্যবাহী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি ওয়াল স্ট্রিট, রাজনৈতিক ‘এলিট’ এবং পার্টির মূল নেতৃত্বের প্রতি প্রতিরোধ দেখিয়ে সাধারণ ভোটারদের একত্রিত করেছিলেন।
তবে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্প মূলত পার্টির প্রতিষ্ঠিত নীতির অনুরূপ শাসন পরিচালনা করেছেন। লেম্যান ডেভিড রেমনিকের সঙ্গে আলোচনা করে রিপাবলিকান পার্টির জন্য তিনটি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ উল্লেখ করেছেন, যা ট্রাম্পের প্রভাব এবং পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
লেম্যান বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন যে, ট্রাম্পবাদের প্রভাব কেবল নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে না।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতা থেকে কর্তৃত্ববাদে রূপান্তর কেবল একটি নাটকীয় ঘটনার মাধ্যমে নয়, আমাদের শাসক প্রতিষ্ঠানগুলোর ধীর ক্ষয়ের মাধ্যমে ঘটে। ট্রাম্পবাদকে এমন একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে- যা মানব চেতনার উচ্চতর গুণগুলো- শিক্ষা, করুণা, বিজ্ঞান, ন্যায়বিচার- কেটে ফেলার এবং তাদের স্থানে লোভ, প্রতিশোধ, অহংকার ও ক্ষুধাকে স্থাপন করার চেষ্টা করে। যদি আপনি মনে করেন ট্রাম্পবাদ কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হবে, তবে তা ভুল। এটি যে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা উপস্থাপন করে, তা এক প্রজন্মের জন্য প্রভাব ফেলতে পারে, এবং আমাদের শিশুদের ক্ষেত্রেও।’
লেম্যানের বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ট্রাম্পবাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি এবং এটি কেবল নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল নয়।
সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের উদাহরণগুলো দেখলে বোঝা যায় একই ধারা। নিউ ইয়র্কারের সঙ্গীত সমালোচক ক্যারি ব্যাটান কোরিয়ান পপের প্রভাব নিয়ে উল্লেখ করেছেন লেম্যান। তিনি দেখিয়েছেন, কিভাবে কোরিয়ান পপ ধীরে ধীরে আমেরিকান মূলধারার সঙ্গীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, যা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও একটি চিহ্ন।

