মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সেলিম আহমেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম

গুমোট পরিস্থিতিতে চাপা উত্তেজনা

সেলিম আহমেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা, জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা-ভাঙচুর, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।

এ ছাড়াও মঞ্চ ৭১-এর আলোচনা সভা প- ও লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে সন্ত্রাস ধমন আইনে আটক সাম্প্রতিক বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে। এরইমধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জোর দাবি তুললেও জামায়াত-এনসিপিসহ অনেকেই জুড়ে দিচ্ছে নানা শর্ত। যদিও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত রোববার তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।

তিনি নির্বাচনের বিকল্প কিছু হলে জাতির জন্য বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, মতানৈক্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে গতকাল সোমবার সেনাপ্রধানের বৈঠকের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে নানা গুজব।

‘জরুরি অবস্থা’ আসছে এই গুজব-গুঞ্জন রাজনীতিতে তৈরি করেছে ‘গুমোট’ পরিবেশও। তবে সরকার ও সেনাপ্রধানের তরফ থেকে এসব গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারির যে আলোচনা বাজারে চলছে, তা ‘স্রেফ গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধানও। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জরুরি অবস্থা জারি হাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ দেশে এখন নেই। যদি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হয় তাহলে হয়তো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি হতে পারে। 

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে তারা। গত রোববার তিনটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেও প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে বের হলেই এই তিন দল নির্বাচন নিয়ে তিন রকম কথা বলেছে।

বিএনপি নির্বাচন নিয়ে অটল থাকলেও এনসিপির নেতারা বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি এবং সাংবিধানিক ভিত্তির জন্য আগামী নির্বাচন যেন গণপরিষদ নির্বাচন হয় সেটা তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন।

আর চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে এত বড় নির্বাচন (জাতীয় সংসদ) পরিচালনা করবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এ ছাড়াও গতকাল সোমবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবিতে দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্যের কারণে নির্বাচন আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না সেই শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলে। 

এর মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করার পর থেকেই রাজনীতির মাঠে একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জুলাই যোদ্ধা নামে একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্ল্যাটফর্ম ‘মঞ্চ ৭১’ অনুষ্ঠান প- করে দেয়। সেখান থেকে  সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন ও সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম পান্নাসহ ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই ঘটনায় বিতর্কের জন্ম দেয়।

এর একদিনের মাথায় গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ থেকে দুই দলের নেতাদের মধ্যে দুই দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষ এবং লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে নুরুল গুরুতর আহত হয়। আওয়ামী লীগের আমলেও একটা রাজনৈতিক দলের প্রধানের ওপর হামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

এসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত রোববার রাতে বাসা ভাড়া নিয়ে মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির দেড় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একইদিন রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। এই নিয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর বাইরে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে অনেক।

দেশে গণপিটুনিতে হত্যার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। এমএসএফ জানিয়েছে, আগস্ট মাসে দেশে অন্তত ৩৮টি গণপিটুনির ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৪৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। জুলাই মাসে এমন ৫১টি ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৬ জন।

সব মিলিয়ে এমন রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার অস্থিরতার মধ্যে উঁকি দিচ্ছে নানা গুজব ও গুঞ্জন। চীন সফর শেষে দেশে ফিরে গত রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আর গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ওই বৈঠকের পর গতকাল দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে নানা গুঞ্জন। কেউ কেউ দাবি করে, জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা আসছে।

তবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ এবং জরুরি অবস্থা জারির যে আলোচনা বাজারে চলছে, তা ‘স্রেফ গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আর্মি চিফ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছেন বলে আমার জানা নেই। দুয়েকটা পত্রিকায় দেখেছি। বাজারে অনেক রকম গুজব প্রচলিত আছে। এসব গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নাই। এখন পর্যন্ত অবশ্যই গুজব।’

জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, আমি এই ধরনের কোনো সম্ভাবনার ব্যাপারে অবগত নই। সেনাপ্রধান মাঝে মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন। আমি মনে করি না যে, এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু আছে। 

বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতৈক্য, সে প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তি রাজনৈতিক দলগুলোর বিচার বিবেচনার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে আমরা তাদের মধ্যে ঐক্য দেখতে পাব। সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নির্বাচন কমিশনকে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা সে অনুযায়ী কাজ করছেন। 

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত এক বছরে বিভিন্ন সময় অবনতি হয়েছে, আবার উন্নতি হয়েছে। একটা বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমাজে বিভিন্ন রকম অস্থিরতা থাকে। এসব অস্থিরতার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাঝে মধ্যে অবনতি ঘটে। এটা খুব অস্বাভাবিক বলে মনে করি না। এমন পরিস্থিতি আগেও মোকাবিলা করেছি। 

অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের অবদান অব্যাহত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীর এ ভূমিকা আরও সুসংগঠিত করা জরুরি। এর মধ্যে স্পষ্ট কাঠামো ও সব বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তিনি গুজবের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পুরো সেনাবাহিনী সরকারের সব উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ নিয়ে আইএসপিআরের ভাষ্য

গতকাল সোমবার এক বিবৃতির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং পরবর্তীতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান সম্প্রতি তার চীন সফরকালীন অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বৈঠকের অভিজ্ঞতা ও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ তুলে ধরেন। পাশাপাশি, দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং তা উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়। আলোচনায় সেনাবাহিনী প্রধান আশ্বস্ত করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যা বলছেন

পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, অনির্বাচিত সরকার, সামরিক সরকার, সামরিক শাসন, জরুরি অবস্থা কোনোটিই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের তৎপরতা নিয়ে আমরা উদ্বেগের মধ্যে আছি। এসব সংকট দূর করার জন্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনেরও ৬-৭ মাস বাকি আছে এখনো। সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অটল। যদিও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা মতানৈক্য, দাবি-দাওয়া আছে। এটা থাকবেই। যদি আরও দুই-তিন মাস পর নির্বাচনি উদ্যোগে ভাটা পড়ে তাহলে বড় কিছু হতে পারে। তবে এসব বিষয় নিয়ে বড় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর আইনশঙ্খলা নিয়ে অবনতি নিয়ে রাষ্ট্রের সবকিছু উলটপালট হয়ে যাবে তা আমরা অনুমান করতে পারি না।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!