শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রুবেল রহমান ও সেলিম আহমেদ

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ১২:১৮ এএম

ঈদ উৎসবে নির্বাচনের আমেজ

রুবেল রহমান ও সেলিম আহমেদ

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ১২:১৮ এএম

বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এনসিপির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এনসিপির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতির মাঠে এখন ভোটের উত্তাপ। যদিও কবে নির্বাচন হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। নির্বাচন নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে জোরালো দেনদরবার। তার পরও ধরে নেওয়া হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচনের আগে এটা শেষ ঈদ। তাই ঈদ ঘিরেও শুরু হয়েছে ভোটের রাজনীতি।

গত ১৫ বছর লুকিয়ে পালিয়ে কিংবা জেলের চারদেয়ালের মাঝে বিবর্ণ ঈদ কেটেছে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ঈদুল ফিতরের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। দুটি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজধানীতে বসবাস করলেও ঈদ কিংবা উৎসবে থাকেন নিজ নির্বাচনি এলাকায়। ডিসেম্বরে ভোটকে টার্গেট করে নিজ এলাকায় রমজান থেকেই কাজ করছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জামায়াত নেতারাও ব্যস্ত নিজ এলাকায় কৌশলী প্রচারণায়। পিছিয়ে নেই এনসিপিসহ অন্য দলও। তারা নির্বাচনী এলাকায় ভোটের মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের তারকা নেতারা। যারা পালিয়ে যেতে পেরেছেন, তারা প্রবাসে ফেরারি জীবন পালন করছেন। প্রকাশ্যে যেতেও পারছেন না কোনো অনুষ্ঠানে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা ঈদ পালন করবেন জেলখানায়।  

ঈদ উপলক্ষে প্রায় সব মানুষই ছুটে যায় নিজের গ্রাম বা শেকড়ে। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য শহরগুলো থেকে ঈদের আগেই ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। শহরের তুলনায় ঈদের কয়েক দিন তৃণমূল থাকে বেশ জমজমাট। বিশেষ করে ঈদের নামাজ হয় মিলনমেলার মতো। সবার সঙ্গে সবার দেখা হয়। একটা বড় ধরনের সংযোগ হয়। ফলে রাজনীতিকেরাও সুযোগটা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগের ঈদগুলোতে যুক্ত হয় নির্বাচনি আবহ। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাও পালিত হবে নির্বাচনী আবহে। রাজনীতিকেরা ঈদ উপলক্ষে গ্রামে যান কার্যত ভোটের বার্তা নিয়ে। সর্বত্রই ভোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কিংবা দান-দক্ষিণা দিয়ে এগিয়ে থাকেন অনেকে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনো ঘোষণা না হওয়ায় পোস্টারে ঈদের শুভেচ্ছায় কৌশল গ্রহণ করেছেন প্রার্থীরা। 

এদিকে, ঈদের আমেজে শুধু ভোটের রাজনীতি নয়, ঈদের পরে রাজনীতির মাঠও গরম হতে পারে। ঈদের পর আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। পবিত্র ঈদুল আজহার পর বিভিন্ন ইস্যুতে এই চাপ আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। তবে কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বিএনপি। 

সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার এবং ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, সেটি সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশলেরই অংশ। অন্যদিকে জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচারসহ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন- এসব বিষয় সামনে এনে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কোনো কোনো পক্ষ মাঠ গরম করবে। এ ছাড়া আসন্ন ঈদুল আজহা শেষে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনসভা করার টার্গেট হাতে নিয়েছে। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সূত্রগুলো বলছে, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের গঠিত নতুন দল এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় জনসংযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন। ঈদের দুই দিন আগ থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছেন। আর যারা ঢাকায় ঈদ করবেন, তারাও কেউ বিকেলে, কেউ আবার ঈদের পরদিন সকালে ধরবেন গ্রামের পথ। ঈদের ছুটি এবার ১০ দিনের মতো হওয়ায় রাজনৈতিক দলের নেতারা মতবিনিময় সভা-সমাবেশও করছেন। ফলে ঈদের আনন্দে নতুন করে যুক্ত হয়েছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার আমেজ।

ঈদের পর না হলেও মাস ছয়েকের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি ধরেই মাঠ গোছানোর কাজ করছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি ডিসেম্বরে চাইলেও আর একটু পর নির্বাচন চায় জামায়াত। তবে বিএনপির চেয়ে প্রার্থী বাছাই কিংবা নির্বাচনি প্রচারণায় এক ধাপ এগিয়ে আছে জামায়াত। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা না এলেও একরকম নির্বাচনের ঢেউ লাগছে এই ঈদে। এদিকে ঈদ সামনে রেখে নিজ নিজ গ্রামে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষ। আর নানাভাবে তাদের কাছে যাওয়া, নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুকদের প্রায় সবাই রঙিন পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন দিয়ে সংসদীয় আসনের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অনেকে আবার ঈদের শুভেচ্ছা হিসেবে বিতরণ করছেন সেমাই-চিনি, জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন ঈদ উপহার। কোরবানির গরুর মাংস বিতরণের জন্যও চলছে প্রস্তুতি। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এমন প্রচারণা অতীতে থাকলেও এবার এই প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।

সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেউ বসে নেই। ঈদকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে ব্যস্ত তারা। বিভিন্ন এলাকায় ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা সকাল থেকে রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় সরব থাকছেন। মিটিং করছেন, নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছেন। 

এসব রাজনৈতিক দলের প্রচার-প্রচারণায় অভিন্নভাবে উঠে আসছে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১৬ বছরের রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কথা। সব দলই আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বিরুদ্ধাচরণে অভিন্ন সুরেই কথা বলেছে। এর সঙ্গে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবিকে প্রচার-প্রচারণায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তারা সরকারের কিছু কিছু কাজের সমালোচনাও করেছে। তারা বর্তমান সরকারের সংস্কারের দিকগুলো নিয়েও আলোচনা করছে। তাদের পক্ষে ভোটার টানতে বিগত ১৬ বছর কীভাবে তাদের শেখ হাসিনা সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছে, সেই সব ব্যাখ্যা দিচ্ছে। দলের হাইকমান্ড থেকেও তাদের নির্বাচনের মাঠে গুরুত্বের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। 

পুরোনো রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের মতো করে রাজনীতি করলেও নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে নতুন দল এনসিপি। দল গঠনের পর নানামুখী চাপ এবং নির্বাচনি প্রচারণায় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দল গঠনের বছর পার না হতেই নির্বাচন হলে তা কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে বেশ চিন্তা করেই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে তাদের। ফলে তাদের মধ্যে জনসংযোগের চাপ অনেক বেশি। তাই তারা এই ঈদকে দলের এবং নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা হিসেবে বেশি করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব নেতাই নিজ নিজ এলাকায় যেতে শুরু করেছেন। তারা তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা এবং সংস্কার বিষয়ে কথা বলছেন। শেখ হাসিনার শাসনামলের দমন-পীড়ন ও অনিয়মের কথা তুলে ধরছেন। কোনো কোনো জায়গায় বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি কিংবা সংঘর্ষের সম্ভাবনাও রয়েছে রমজানের ঈদের মতো। এনসিপি এই ঈদে দল গোছানোর কাজ করছে বলে জানা গেছে। নিজ এলাকার রাজনীতিতে একেবারেই অপরিচিত এনসিপি নেতাদের কেউ কেউ ঈদ উপলক্ষে গ্রামে প্রচারণা চালাতে গিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন গত ঈদে। সেই ভাবনা মাথায় রেখে এবারের ঈদে কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারা। 

গত ঈদে নোয়াখালীর হাতিয়ায় জনসংযোগের সময় হামলার শিকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ তার নেতাকর্মীরা। মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চাঁদপুরে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম পঞ্চগড়ে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন করে বিতর্কের মুখে পড়েন। অতীতের ভুল শুধরে এবার মানুষের কাছে যাবেন তারা। এমনটিই বলছেন দলটির মুখপাত্র।

রাজনীতির মাঠে বেশ পুরোনো খেলোয়াড় জামায়াতে ইসলামী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় জনসংযোগ করছেন বেশ কয়েক মাস ধরেই। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা কেন এলাকায় যেতে পারেননি, রাজনৈতিকভাবে তাদের ভয়ভীতি কতটা ছিল, তা-ও তুলে ধরছেন ভোটারদের মধ্যে। দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করছেন ঈদসামগ্রী। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে চান, তারা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘জামায়াতের প্রার্থী নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক প্রার্থী আছে। জামায়াত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো না। আমাদের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ। সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের নেতাকর্মীরা লুটপাটে যায় না। আমাদের সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করি। আমরা আমাদের টাকায় মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করি। সারা দেশে আমাদের মানুষ পছন্দ করে। মানুষ মনে করে, জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি, লুটপাট হবে না। ঈদের সময় যেহেতু সবাই নিজ বাড়ি যায়, আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন। ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি কাদের দিয়ে সম্ভব। আওয়ামী লীগকে মানুষ বিদায় করেছে লুটপাট আর জুলুম করার কারণেই। শহিদদের রক্তের সঙ্গে তো বেইমানি করা যাবে না।’

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিগত ১৭ বছরের স্বৈরশাসনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারগুলোকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ক্ষেত্রে ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)’ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর মাধ্যমে উপহার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত অনেক উদ্যোগে ঈদ উপলক্ষে উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বলছেন, এবারের ঈদুল ফিতর তাদের কাছে এক ভিন্নরকম অনুভূতি তৈরি করেছে। কেননা, এর আগে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা হয় জেলে না হয় আত্মগোপনে ঈদ উদযাপন করেছেন। গত বছরের অভ্যুত্থানের পর একটা মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা। এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশে অবস্থান করা দলটির নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াত কিংবা এনসিপিতে কৌশলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এরই মধ্যে কেউ কেউ বদল করেছেন দল। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঈদের সময় সব মানুষ থাকে নিজ এলাকায়। প্রার্থীরা তাই নিজ এলাকায় যান তাদের বার্তা পৌঁছে দিতে। বিএনপি অনেক পুরোনো রাজনৈতিক দল। তাদের প্রার্থী নিয়ে কোনো সংকট নেই, এটা খুব স্বাভাবিক। কোনো কোনো আসনে ১০ জন প্রার্থী আছে আমাদের। দেশের মানুষ চায় ডিসেম্বরে একটি নির্বাচন হোক। মানুষ ভোট দিতে চায়। কার স্বার্থে সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে, তা বুঝতে পারছি না। আশা করি সরকার মানুষ মনের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝবে, তাতেই মঙ্গল।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!