বর্তমান বাস্তবতায় মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি মিলিয়ে নতুন পে-কমিশন চ্যালেঞ্জের মধ্যে কাজ করতে হবে। ফলে কমিশনের পরিমিত সুপারিশ, বাস্তবভিত্তিক এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবসম্পন্ন করার জন্য নানা চাপের মধ্যে কাজ করতে হবে। যদিও কারো মতে বর্তমান বাস্তবতায় পে-কমিশনের প্রয়োজন ছিল না।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নবম পে-কমিশন শুধু একটি কাঠামো নয়, এটি একটি নৈতিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ। এটি বাস্তবায়নে দক্ষতা, নীতিনিষ্ঠতা এবং আর্থিক বিবেচনার ভারসাম্য প্রয়োজন হবে। সরকারি চাকরির আকর্ষণ ধরে রাখতে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী করা হবে।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত নবম পে-কমিশন আগামী ১১ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর আগে ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, যেখানে সদস্যরা কমিশনের কর্মপদ্ধতি, অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলো এবং প্রাথমিক কৌশল নির্ধারণ করবেন। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
সরকার মনে করছেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং আন্তর্জাতিক তুলনায় বাংলাদেশের বেতন কাঠামো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই কমিশনকে এমন কাঠামো তৈরি করতে হবে যাতে-সরকারি চাকরি আরও আকর্ষণীয় হয়, কর্মদক্ষতা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে বেতন নির্ধারণ হয়, সরকারি-বেসরকারি চাকরির ফারাক কমে, নিচু গ্রেডের কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত হয়, অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও বাজেট চাপের সমন্বয় রাখা সম্ভব হয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় পে-কমিশনের কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি আর রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক ধারায় সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনৈতিক চাপ সামলে গ্রহণযোগ্য ও প্রণোদনামূলক কাঠামো তৈরি করা।
আর্থিক বাস্তবতা ও বিশ্লেষকদের মতামত
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন পে-কমিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি টেকসই বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা, যা সরকারি চাকরিকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে তুলবে। গত এক দশকে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭.৮ শতাংশ হারে, যেখানে বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে প্রকৃত আয় কমেছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে এবং সরকারও ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। এ বাস্তবতায় নতুন কাঠামো নির্ধারণে যথেষ্ট আর্থিক ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন হবে।
চলতি বছরের জুনে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.৪৮ শতাংশ, যা মে মাসে ৯.০৫ থেকে কমেছে। এটি ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়। যদিও সামগ্রিক দাম কমছে, খাদ্যের সার্বিক দাম বৃদ্ধি এখনো উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। অন্যান্য খাত যেমন পোশাক-জুতার দাম, শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে মূল্যবৃদ্ধি এখনো উচ্চতম পর্যায়ে। গত এক বছরের গড় মুদ্রাস্ফীতি ছিল প্রায় ১০.০৩ শতাংশ, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক বেশি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রেখেছে। ব্যাংক গুণমান এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ক্রেডিট বৃদ্ধি ধীর, প্রাইভেট খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৭.১৫‑৭.১৭ শতাংশ, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৯.৮ শতাংশ।
২০২৫-২৬ সালের বাজেট ব্যয় সংকোচন নীতির ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয়েছে। আর বাস্তবায়ন অযোগ্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব অর্জনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬৪,০০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির প্রায় ৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে সরকারের আর্থিক সীমিবদ্ধতা স্পষ্ট। তাই অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধিতে বাজেট চাপে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকে নজর
বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, অনেক গ্রেডে বেতন ৪০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে দশম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান রক্ষায় ন্যূনতম বেতন ২০,০০০-২৫,০০০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব উঠতে পারে।
একই সঙ্গে, বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে কর্মদক্ষতা, টাইম স্কেল সংস্কার ও চাকরির প্রণোদনা সম্পর্কিত একটি বিন্যাসমূলক মডেল তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
পে-কমিশনের কাঠামো ও জনবল
নতুন পে-কমিশনের মোট জনবল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ জন, যার মধ্যে কমিশনের সদস্য সংখ্যা ২২ জন। সদস্যদের মধ্যে বেতন ও চাকরি কাঠামো বিশেষজ্ঞ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং সরকারি বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কমিশনের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ ভবনের (পুরাতন) চার তলার একটি অংশে।
কমিশনের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে অর্থ বিভাগ পরিবহন পুলে একটি চিঠি দিয়ে কমিশনের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় গাড়ির ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া কমিশনের সভা ও কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের খরচ অর্থ বিভাগই বহন করবে।
বাজেট সহায়তা এবং ওয়েবসাইট উদ্যোগ
নতুন পে-কমিশনের কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট সাপোর্ট প্রয়োজন হবে। এ জন্য বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে একটি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রাথমিক ও চলমান অর্থায়ন নির্ধারণ করা যায়। কমিশনের স্বচ্ছতা ও কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতে একটি সরকারি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, যেখানে রিপোর্ট, প্রেস রিলিজ, সভার নোটসহ অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করা হবে।
৮টি বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময়
কমিশনের সদস্যরা ৮টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যেমন জনপ্রশাসন, অর্থ, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, আইন এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন। এ মতবিনিময়গুলোয় বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবীদের চাহিদা, বাস্তবতা ও আর্থিক সক্ষমতা বিশ্লেষণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হবে।
কর্মপরিধি ও সময়সীমা
নতুন পে-কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে, যেখানে বর্তমান বেতন কাঠামোর সমস্যা, নতুন কাঠামোর সুপারিশ, আর্থিক প্রভাব এবং বাস্তবায়নযোগ্যতা তুলে ধরা হবে। কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হবে- বর্তমান বেতন কাঠামোর পুনর্মূল্যায়ন, কর্মক্ষমতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বেতন সংযোজন, বেতন বৈষম্য নিরসনে প্রস্তাব, অবসর সুবিধা ও পেনশন সংশোধনের সুপারিশ ও সরকারি চাকরিতে প্রণোদনার ব্যবস্থা।
জাহিদ হোসেন বলেন, সরকার অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের জালানির মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। ৫ আগস্টের পর বাঁশখালী ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু থাকবে কি না, তা অনিশ্চিত হয়ে আছে। রাজস্ব আদায়ে আকাশ কুসুম লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু আদায় হতাশাজনক। এ অবস্থায় পে-কমিশন কতটা যৌক্তিক? এমন তো না সরকার যে পে-কমিশন গঠন করেছে, তারা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করবে না। আর বেতন বৃদ্ধি না করলে যে হতাশা হবে, তা থেকে ক্ষোভের সৃষ্ট হবে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে সরকার যে পে-কমিশন গঠন করেছিল, হিসাব করলে সরকারি কর্মচারীরা তার থেকে অনেক বেশি সুবিধা পেয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, তা থেকেও তারা বেশি সুবিধা পেয়েছেন।
বর্তমান বেতন কাঠামো ও গ্রেড
বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মোট ২০টি গ্রেড রয়েছে। ২০১৫ সালে সপ্তম পে-কমিশনের সুপারিশে এ কাঠামো কার্যকর হয়। গ্রেড-১ সর্বোচ্চ ও গ্রেড-২০ সর্বনিম্ন। সর্বোচ্চ বেতন স্কেল গ্রেড-১-এ থাকা সিনিয়র সচিব/সচিবদের জন্য প্রযোজ্য এবং সর্বনিম্ন গ্রেড-২০ মূলত অফিস সহায়ক পর্যায়ের কর্মীদের জন্য।
বর্তমান মূল বেতন কাঠামোয় প্রথম গ্রেড- মূল বেতন নির্ধারিত ৭৮ হাজার টাকা। এই গ্রেডে সাধারণত সিনিয়র সচিব ও সচিব পদে কর্মরত কর্মকর্তারা রয়েছেন। দ্বিতীয় গ্রেড- বেতন স্কেল ৬৬,০০০ টাকা থেকে ৭৪,৪৯০ টাকা পর্যন্ত। এই গ্রেডে অতিরিক্ত সচিব বা সমপর্যায়ের পদধারীরা রয়েছেন। তৃতীয় গ্রেড- বেতন স্কেল ৫৬,৫০০ থেকে ৭৪,৪৯০ টাকা। এই গ্রেডে যুগ্ম সচিব এবং উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন। চতুর্থ গ্রেড- বেতন স্কেল ৫০,০০০ থেকে ৭১,২০০ টাকা। এটি উপসচিব পদসহ কিছু বিশেষ ক্যাডার অফিসারদের জন্য প্রযোজ্য। পঞ্চম গ্রেড- বেতন ৪৩,০০০ থেকে ৬৯,৮৫০ টাকা। এই গ্রেডে সিনিয়র সহকারী সচিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও অন্যান্য প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিতরা রয়েছেন।
ষষ্ঠ গ্রেড- বেতন ৩৫,৫০০ থেকে ৬৭,০১০ টাকা। সহকারী সচিব, প্রভাষক ও কারিগরি ক্যাডার কর্মকর্তারা সাধারণত এই গ্রেডে রয়েছেন। সপ্তম গ্রেড- বেতন স্কেল ২৯,০০০ থেকে ৬৩,৪১০ টাকা। বিভিন্ন পেশাগত ও কারিগরি পদে নিয়োজিতদের মধ্যে অনেকে এই গ্রেডে পড়েন। অষ্টম গ্রেড- বেতন স্কেল ২৩,১০০ থেকে ৫৫,৯১০ টাকা। সহকারী প্রকৌশলী, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের প্রভাষকরা এ গ্রেডে রয়েছেন। নবম গ্রেড- বেতন ২২,০০০ থেকে ৫৩,০৬০ টাকা। জুনিয়র এক্সিকিউটিভ, প্রশাসনিক সহকারী ও সমপর্যায়ের কর্মীরা এই গ্রেডে। দশম গ্রেড- বেতন ১৬,০০০ থেকে ৩৮,৬৪০ টাকা।
নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষক, এক্সিকিউটিভ সহকারী ও সরকারি কার্যালয়ের অফিস স্টাফরা অন্তর্ভুক্ত। ১১তম গ্রেড- বেতন স্কেল ১২,৫০০ থেকে ৩০,২৩০ টাকা। অফিস সহকারী, জুনিয়র টেকনিক্যাল স্টাফ ও কম্পিউটার অপারেটররা সাধারণত এই গ্রেডে। ১২তম গ্রেড- বেতন স্কেল ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা। সহকারী হিসাবরক্ষক, জুনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইত্যাদি। ১৩তম গ্রেড- বেতন স্কেল ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা। জুনিয়র সহকারী, মেশিন অপারেটর ও নিম্নপদস্থ প্রশাসনিক কর্মচারীরা এখানে থাকেন। ১৪তম গ্রেড- বেতন ৮,৫০০ থেকে ২০,৫৭০ টাকা। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ক্লারিকাল সহকারী ইত্যাদি। ১৫তম গ্রেড- বেতন ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা।
ফাইল সহকারী, আর্দালি বা সহকারী কর্মচারীরা এই গ্রেডে থাকেন। ১৬তম গ্রেড- বেতন স্কেল ৭,৮৫০ থেকে ১৯,২১০ টাকা। পিয়ন, চৌকিদার ও দপ্তরির মতো পদ এই গ্রেডে পড়ে। ১৭তম গ্রেড- বেতন ৭,৫০০ থেকে ১৮,৩০০ টাকা। সহকারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অফিস গার্ড ও সেবাদানকারী কর্মীরা সাধারণত থাকেন। ১৮তম গ্রেড- বেতন ৭,২৫০ থেকে ১৭,২৯০ টাকা। গেটকিপার, নিরাপত্তাকর্মী ও কিছু ক্ষেত্রের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এই গ্রেডে। ১৯তম গ্রেড- বেতন ৭,১৫০ থেকে ১৬,৯০০ টাকা। মালি, ঝাড়ুদার, হেলপার প্রভৃতি গ্রেড-১৯-এ অন্তর্ভুক্ত। ২০তম গ্রেড- বেতন ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (অন্য গ্রেড থেকে ব্যতিক্রম)। এই গ্রেডে অফিস সহায়ক, দারোয়ান, গার্ড ইত্যাদি নিম্নপদস্থ কর্মীরা থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :